অভয়নগরে ভৈরব সেতুতে যানচলাচলে উন্মুক্ত করণে বাঁধা; সংযোগ সড়কের রেলক্রসিং নিয়ে রেলওয়ের মামলার প্র¯‘তি গ্রহন শেখ জাকারিয়া রহমান –
অভয়নগরবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশিত ভৈরব সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হলেও উদ্বোধন হ”েছ না সহসা। সেতুর সংযোগ সড়কে অবৈধ রেল ক্রসিং ব্যবহার করা হ”েছ এমন অভিযোগের ভিক্তিতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ উপজেলা ইনঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে মামলার প্র¯‘তি নিয়েছে।
অবৈধ রেলক্রসিং বিষয়ে রেলওয়ে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে যশোর স্টেশনের উর্ধতন উপসহকারি প্রকৌশলী মো:চাঁদ আহমেদ স্বাক্ষরিত অভয়নগর উপজেলা ইনঞ্জিনিয়ারকে চিঠি দিয়েছেন। উক্ত চিঠি মারফতে জানা গেছে, ভৈরব ব্রিজের নওয়াপাড়া অংশের সংযোগ সড়ক দিয়ে যশোর – খুলনা মহাসড়কে উঠার জন্য রেললাইন ক্রস করা হয়েছে। যা রেল চলাচলে বিঘœ ঘটবে। রেল ক্রসিংয়ের জন্য কোন অনুমোদন নেওয়া হয়নি। যে কারনে তা অবৈধ। তাছাড়া যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে উপজেলা ইনঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবগত করানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতোমধ্যে রেল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে মামলা করার জন্য সকল ধরনের প্র¯‘তি দিয়েছে। এদিকে মামলা ঠেকানোর জন্য উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ¯’ানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর এর উর্ধতন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন।
এ দিকে সেতু নির্মানের সকল ধরনের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বলে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্ত থেকে জানাগেছে। রেলওয়ের মামলার জন্য সেতু যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করতে পারছে না। এ ব্যপারে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মো; কামরুল ইসলাম সরদার জানান, সেতুর সংযোগ সড়কটি পূর্বে পৌরসভার নির্মিত পাকা সড়ক ছিল। ওই সড়ক দিয়ে ঘাট গোডাউনে ট্রাক সহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতো। যে করনে আমরা রেলওয়ের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। তিনি আরো বলেন, রেলওয়ের বাধার করনে সেতু উন্মুক্ত করা অর্নিদৃষ্ট কালের জন্য ¯’গিত হয়ে পড়লো। বিষয়টি দ্রæত নিষ্পত্তির জন্য তিনি বিভিন্ন মহলে চেষ্টা চালিয়ে যা”েছন বলে সংবাদিকদের জানান।
২০১৫ সালের জুন মাসে ম্যাক্স গ্রæব ভৈরব সেতু নির্মাণের কার্যদেশ পায় । ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে কাজ শেষ করা কথা ছিলো। কিš‘ নদী ভাঙ্গনের কারণে নির্মান কাজে বিলম্ব হয়। পরে সময় বৃদ্ধি করে চলতি বছরের ১৩ মার্চে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের কিছূ পরে সংযোগ সড়ক, লাইটিং সহ সমুদয় কাজ শেষ হয়েছে। ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৮.১ মিটার প্র¯‘ সেতুটির নির্মন কজে বরাদ্দ হয় ৭৮কোটি ১৫ লাখ টাকা। পরে আরো সাত কোটি ১৪ লাখ টাকা বাড়ানো হয়। সেতুটি উন্মুক্ত করণে বিলম্ব হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।