তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে চলমান সিআইসিএ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে সহায়তা চেয়েছেন। তিনি রোহিঙ্গাদের নিজ রাষ্ট্র মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে সকলের সহায়তা চান। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, এই সমস্যার সমাধান না হলে তা পুরো অঞ্চলেই অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে। ইউএনবি, বিএসএস।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জোর করে বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ মিয়ানমারের নাগরিককে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। আমরা এই সমস্যার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তিও স্বাক্ষর করেছি। কিন্তু এর সমাধান না করা গেলে এই সঙ্কট পুরো অঞ্চলকেই অস্থিতিশীল করে ফেলবে।’ দুশানবের নাভরুজ প্রাসাদে কনফারেন্স অন ইন্টারেকশান অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়া (সিআইসিএ)-র ৫ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখা করেন দেশের রাষ্ট্রপতি আদুল হামিদ। তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের নিজেদের আদি আবাসন থেকে বলপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সম্পূর্র্ণ মানবিক বিবেচনায় তাদের আশ্রয় দেয়। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সন্ত্রাসী দমনের নামে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে আরো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করায় বাংলাদেশে সব মিলিয়ে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখের বেশি দাঁড়ায়। জাতিসংঘ শুরুতে এই ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের কিতাবি উদাহরণ’ আখ্যা দিলেও পরে গণহত্যা বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।