যশোরের শার্শা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি থেকে বোমা তৈরীর সরঞ্জম, ম্যাগাজিন, গুলি ও মাদক উদ্ধার, শার্শা(বেনাপোল )প্রতিনিধিঃ বেনাপোলে পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুলফিকাকার আলী মন্টুর উপর বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকুল হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ম্যাগজিন, গুলি ও ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুলফিকাকার আলী মন্টু বলেন, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাত ১২টার দিকে তিনি ও তার বন্ধু সুমন ইসলাম বাজার থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির সামনে তিনজনকে মুখে কালো কাপড় বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মোটরসাইকেল থামান তারা। এসময় তাকে লক্ষ্য করে কালো কাপড় বাঁধা লোকগুলো বোমা ছুড়ে। বাড়ির ওপরও দুইটি বোমা ছুড়ে তারা পালিয়ে যায়, তবে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়। দ্রুত তারা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের চেনা যায়নি।
এদিকে বোমা হামলায় মন্টু মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গেলেও অক্ষত আছেন তিনি। তবে তার বন্ধু কিছুটা আহত হয়েছেন। এ নিয়ে মন্টুকে পাঁচবারের মতো হত্যার চেষ্টা করা হলো।
এদিকে ঘটনার পর পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকুল হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালায়। তার বাড়ি থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জম, ১২টি ম্যাগজিন, পিস্তলের তিন রাউন্ড গুলি, আটটি দেশীয় অস্ত্র, হাতুড়ি ও ৩৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।
বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে তারা মোটরসাইকেলে থাকা আহত সুমনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বোমা লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় মন্টু বেঁচে গেছেন। মন্টুর বাড়ি থেকে অবিস্ফোরিত দুইটি বোমা জব্দ করা হয়েছে।
তবে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকুল হোসেন জানান, রাজনৈতিক চাপে তিনি গত ছয় মাস ধরে এলাকা ছাড়া। ওই বাড়িতেও কেউ থাকেন না তিনি। হয়রানি করতেই প্রতিপক্ষের সাজানো এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুলফিকাকার আলী মন্টু স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনের অনুসারী। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকুল হোসেন বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের অনুসারী। রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে এই দুই নেতার মধ্যে গত পাঁচ বছর ধরে শত্রুতার সর্ম্পক। প্রায়ই তাদের অনুসারীদের মধ্যে হামলা-মামলার ঘটনা ঘটে আসছে।