দৈনিক সমাজের কন্ঠ

অভয়নগরে ডাকাতের হাতে দেবাশীষ খুনের রহস্য উম্মোচন করেছে যশোর পিবিআই

সাকিব হোসেন ইমরান, নওয়াপাড়া প্রতিনিধিঃ
অভয়নগরে ডাকাতের হাতে ব্যবসায়ী দেবাশীষ খুনের রহস্য উম্মোচন করেছেন যশোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ব্যবসায়ী দেবাশীষের বাড়ি থেকে ঘটনার রাতে লুন্ঠিত মালামালও উদ্ধার করেছে পিবিআই।
পিবিআই সূত্র জানায়, ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক তত্ত্ববধান ও দিক নিদের্শনায়, পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন এর নেতৃত্ত্বে পিবিআই যশোরের একটি চৌকস দল গত ২০ মে খুলনার তেরখাদা উপজেলার মোকমপুর গ্রামের মোতালেব খাঁ ওরফে মোতাহের খাঁ এর ছেলে মোঃ সেলিম খাঁ ওরফে শহিদুল খাঁ (৩৮) কে রাত আড়াইটার সময় তার নিজ বাড়ি থেকে এবং একই দিনে সকাল পৌণে ৯ টায় খুলনার দিঘলীয়া উপজেলার চন্দনী মহল গ্রামের মোঃ মুক্তার শেখ এর ছেলে মোঃ নান্টু শেখ (৪৯) কে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
এ সময় অভিযুক্ত সেলিম খাঁ এর নিকট থেকে একটি স্বর্ণের আংটি এবং তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক লুন্ঠিত বিক্রিত স্বর্ণ খুলনা সদর থানাধীন হেলাতলা ‘‘রিংকু স্টোর’ নামক স্বর্ণের দোকান থেকে ৬ ভরি ৭ আনা ০ রতি ৮ পয়েন্ট (৭৫.১৮ গ্রাম) স্বর্ণ গলান অবস্থায় উদ্ধার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমীন জানান, আসামী সেলিম খাঁ ওরফে মহিদুল খাঁ তার দলবল নিয়ে গত ২৬ এপ্রিল রাত পৌণে টার সময় অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী দেবাশীষ সরকার ওরফে সঞ্জয় এর বাড়িতে ডাকাতির সময়কালে ডাকাত দল দেবাশীষ সরকার ওরফে সঞ্জয় এবং তার স্ত্রী রিপা সরকার, মা মিনতী সরকার ও মেয়ে দেবীকা সরকারকে লোহার রড দিয়ে গুরতর জখম করে বাড়িতে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থসহ ১৯ লাখ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। তারা ডাকাতির লুন্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার অভিযুক্ত নান্টু শেখ এর মাধ্যমে বিক্রয় করে।
অভিযুক্ত নান্টু শেখ স্বর্ণের কাজ জানে। সে ডাকাতির ঘটনায় লুন্ঠিত হওয়া স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গলিয়ে খুলনা সদর থানাধীন হেলাতলা ‘‘রিংকু স্টোর’ নামক স্বর্ণের দোকানে বিক্রয় করেছে মর্মে স্বীকার করে। পরবর্তীতে উক্ত ‘‘রিংকু স্টোর’ নামক স্বর্ণের দোকানে অভিযান পরিচালনা করলে দোকানের মালিক জনৈক বিপ্লবকে জিজ্ঞাসাকালে তিনি ৬ ভরি ৭ আনা ০ রতি ৮ পয়েন্ট (৭৫.১৮ গ্রাম) স্বর্ণ গলান অবস্থায় কিনেছেন বলে উক্ত স্বর্ণ বের করে দিলে তা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।