আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা উম্মুক্ত ঘোষনাঃ তবে নারী-পুরুষ ক্লাস রুম হবে আলাদা-তালেবান

0
0

ডেস্ক নিউজঃ আফগানিস্তানে তালেবানের ভারপ্রাপ্ত উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁদের নতুন আইনের অধীন দেশটির নারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে ও পড়াশোনা করতে পারবেন। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল রোববার তালেবানের ভারপ্রাপ্ত উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী আবদুল বাকি হাক্কানি এ কথা বলেন। তবে তিনি জানান, আফগান নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করার অনুমতি দেওয়া হলেও শরিয়াহ আইন অনুযায়ী সহশিক্ষা নিষিদ্ধ হবে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেমেয়ে একসঙ্গে পড়তে বা ক্লাস করতে পারবে না।
তালিবান গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তালেবান শাসনের অধীনে, ১৯৬০ এর দশকে আফগানিস্তানে নারীদের পড়া ও লেখা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল কিন্তু এবার তালেবানরা বিশ্বকে বোঝানোর চেষ্টা করছে যে ‘আফগান নারীরা শরিয়া আইনের অধীনে তাদের শিক্ষা চালিয়ে যেতে সক্ষম হবে’ বলেন তালেবানের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষামন্ত্রী আবদুল বাকী হাক্কানি।
তালেবানের ভারপ্রাপ্ত উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তাঁরা তাঁদের ইসলামিক, জাতীয় ও ঐতিহাসিক মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি যুক্তিসংগত ও ইসলামিক পাঠ্যক্রম তৈরি করতে চান। অন্যদিকে অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতাতেও সক্ষম হতে চান।
তালেবানের শরিয়াহ আইন অনুযায়ী, আফগানিস্তানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থাতেও ছেলেমেয়েদের আলাদা করা হবে, যা অতিরক্ষণশীল আফগানিস্তানে আগে থেকেই প্রচলিত।
আফগানিস্তানে নারীর অধিকারের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে, তার প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালেবান। তবে এ ক্ষেত্রে তালেবান শর্ত দিয়েছে যে তাদের প্রবর্তিত ইসলামি আইন অনুযায়ী সবকিছু করা হবে।
১৫ আগস্ট কাবুলের পতনের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানের হাতে যায়। তারা এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো সরকার গঠন করেনি। তবে কয়েকজন মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেছে।
আগামী এক অথবা দুই সপ্তাহের মধ্যে তালেবান নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করতে পারে বলে জানিয়েছে। এ মন্ত্রিসভায় নারীরা দায়িত্ব পালন করবেন কি না, সে ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সূত্র : আল জাজিরা

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here