বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে দিতে জাতিসংঘের কাছেসাংবাদিক রনির খোলা টিঠি

0
0

আজমানুর রহমান – গতকাল বিকালে গোপালগঞ্জের সাংবাদিক আজিজুর রহমান রনি তার ফেজবুক ওয়ালে AR Rony
আইডি থেকে জাতিসংঘের মহাসচিব এন্টোনিও বুতেরেস এর উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি লেখেন । চিঠিটি
হুবহু পাঠকের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো ।
স্যার,
আমি একজন বাঙ্গালী, আমার দেশ বাংলাদেশ, স্যার বিনয়ের সাথে আমি আপনাকে সালাম জানাচ্ছি,
স্যার বিশ্ব ইতিহাসের এক নির্মম হত্যাকান্ডের বিচারের দাবী জানিয়ে আপনার কাছে আমার এই লেখা,
স্যার আমি মনে করি নিঃসন্দেহে আপনি একজন ভালো মানুষ ও একজন মহান নেতা, তাই আজ
আপনার কাছে আরেকজন মহান মানুষ ও একজন মহান নেতা বাঙ্গালী জাতির হাজার বছরের কাঙ্খিত
স্বপ্ন পুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে আপনি সহযোগীতা
করবেন এমন আশা নিয়ে আপনার কাছে আমার এই খোলা চিঠি।
স্যার, আপনি নিশ্চই জানেন যে হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী বাঙ্গালী জাতির রাখাল রাজা জাতির জনক
বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে স্বপরিবারের কিভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো। ১৯৭১ সালে
স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা
একটি স্বাধীন বাংলাদেশ হিসাবে স্বীকৃতি পাই, বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে ও
বাঙ্গালী জাতিকে পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্ত করতে গিয়ে বাঙ্গালী জাতির রাখাল রাজাকে সহ্য করতে
হয়েছে জেল জুলুমসহ নানান অত্যাচার, জীবনের বেশির ভাগ সময় তিনি কাটিয়েছেন দেশ ও দেশের
মানুষের কল্যানে কাজ করে, তিনি প্রধানমন্ত্রীত্ব চায়নি তিনি চেয়েছিলেন এ দেশের মানুষের মুক্তি.. তিনি
সব ত্যাগ করেছেন কিন্তু বাঙ্গালী জাতির ভালোবাসা তিনি ত্যাগ করেননি। তিনি ঠিকই বাঙ্গালী জাতিকে
পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন কিন্তু তিনি শত্রুদের হাত থেকে মুক্তি পাননি…. ১৯৭৫
সালের ১৫ ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারে তাকে হত্যা করা হয়, ওই দিন দেশের বাইরে থাকায় প্রানে বেচে
যায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দিন ১৬ আগষ্ট ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে এই মহামানবের মরদেহ নিয়ে
যাওয়া হয় তার গ্রামের বাড়ী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়, বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসায় সিক্ত হাজারও মানুষ

বঙ্গবন্ধুর লাশ দেখতে ভিড় জমায় সেখানে কিন্তু কাউকে তার লাশ দেখতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি সেদিন,
সেদিন খুনিরা চেয়েছিলো তাড়াহুড়া করে গোসল.. কাফন ছাড়াই বঙ্গবন্ধুর লাশ দাফন করতে কিন্তু
সেদিন সেখান থেকে একজন ইমাম ও কিছু মানুষ জীবনের মায়া ত্যাগ করে বঙ্গবন্ধুর লাশ ওভাবে দাফন
করতে বাধা দেওয়ায় খুনিরা ১৫ মিনিটের মধ্যে গোসল কাফন পরানো ও জানাজা করে বঙ্গবন্ধুর
দাফনের সময় সীমা বেধে দিয়েছিলেন, পরে পাশের একটি পুকুর থেকে ময়লা পানি আর ৫৭০ বল সাবান
দিয়ে জাতির জনকের গোসল সম্পন্ন হয় এরপর কাফন হিসাবে বঙ্গবন্ধু দেওয়া রিলিপের লাল পাড়ের
সাদা শাড়ী পরিয়ে বাবা মার কবরের পাশে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়
ইতিহাসের এই মহানায়ককে।
এই মহান নেতাকে স্বপরিবারে হত্যার বহু বছর পরে হত্যাকারীদের কয়েক জনের ফাসিঁর রায় কার্যকর
করা হলেও দেশের বাইরে কয়েক জন খুনি পালিয়ে থাকায় কারনে তাদের রায় আজও কার্যকর করা
সম্ভব হয়নি, তাই আমি একজন বাঙ্গালী হিসাবে বিশ্ব ইতিহাসের এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিচারের দাবী
জানিয়ে আপনার কাছে বলতে চাই যে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের মধ্যে যারা দেশের বাইরে পালিয়ে আছে
ওইসব খুনিদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে আপনি সহযোগীতা করে বাঙ্গালী জাতিকে আপনি কলঙ্ক মুক্ত
করবেন এমন আশা নিয়ে অপেক্ষায় থাকবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here