রাজধানী ঢাকায় ”পাঠাও” এর চালককে লাঞ্চিত করলেন পুলিশ কর্মকর্তা।

0
16

মোঃ সোহানুর রহমান (রামপুরা, ঢাকা) – ঢাকায় পাঠাও এর চালককে লাঞ্চিত করলেন পুলিশ কর্মকর্তা।আজ ১লা এপ্রিল ২০১৯ রাত অনুমান ০৯ টার দিকে ঢাকার রামপুরা থেকে হাতিরঝিলে ঢোকার মুখে রাস্তায় এক মোটরসাইকেল চালককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে রামপুরা ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মোঃ সোহেল রানার বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী পাঠাও এর চালকের দাবি – তার যাত্রী হেলমেট পরিহিত অবস্থায় না থাকায় মামলা দেওয়ার পরও সার্জেন্ট সোহেল রানা চড়াও হয়ে কথা বলেন এবং আমাকে কিল ঘুষি লাথি মেরে লাঞ্চিত করেন।এই ঘটনায় উক্ত পুলিশ সার্জেন্টে সোহেল রানা পাল্টা অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, ওই মোটরসাইকেল চালক শাহীন আহমেদই প্রথমে তাকে ধাক্কা দিয়েছিলেন। তাই তিনিও ধাক্কা দেন।সে মুহুর্তের একটি ধারন করা ভিডিওতে যা দেখা যাচ্ছে তা পুরো ঘটনার খণ্ডিত অংশ। প্রথমে পুলিশের ওপরই হাত তোলা হয়েছিল। কিন্তু ভিডিওতে তা দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শাহীন আহমেদ জানান, তিনি মাঝে মাঝে পাঠাওয়ের রাইড দেন। আজও সেই উদ্দেশ্যেই বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। কিন্তু যাত্রীর জন্য রাখা হেলমেটটি গতরাতে বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় বলেছিলেন, ট্রাফিক সার্জেন্ট দেখলে তিনি যেন ভেজা হেলমেটটি মাথায় দেন। হাতিরঝিলে রাস্তায় ঢোকার মুখেই পুলিশ বক্সে তাকে থামিয়ে সব কাগজপত্র যাচাই করেন সার্জেন্ট। শুধুমাত্র যাত্রীর মাথায় হেলমেট না থাকার জন্য মামলা দেওয়া হয়। শাহীন আহমেদের অভিযোগ, মামলা দেওয়ার সময় ওই এলাকা দিয়ে যাওয়া অন্যান্য মোটরসাইকেল চালকদেরও গণহারে মামলা দেওয়া হচ্ছিলো। এ ধরনের তুচ্ছ কারণে মামলা দেওয়ার প্রতিবাদ করায় ওই ট্রাফিক সার্জেন্ট তাকে গালাগালি করে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে। একপর্যায়ে তাকে পুলিশ বক্সের ভেতরে ঢুকিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয় বলেও দাবি করেন তিনি। তবে ট্রাফিক সার্জেন্টের দাবি, হেলমেট ছাড়া দেখতে পেয়ে তাকে থামার সংকেত দেওয়া হলেও তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ধরে এনে মামলা দেওয়ায় গালি দিয়ে তাকে রাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছিলো। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল চালকই প্রথমে তাকে ধাক্কা মারেন। কিন্তু ভিডিওতে শুধু তাকেই মারধর করতে দেখা যাচ্ছে এ প্রশ্নের জবাবে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রথমে তার ওপরই হাত তোলা হয়েছিল। সেই অংশটুকু বাদ দিয়ে ভিডিওটি ভাইরাল করা হয়েছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here