স্টাফ রিপোর্টার – যশোরের অভয়নগর উপজেলা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা. আওয়ামী লীগ নেতা মোল্যা ওলিয়ার রহমানের শনিবার পঞ্চম মুত্যুবার্ষিকী। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও নওয়াপাড়া ট্রাক ট্রান্সপোর্ট শ্রমিক ইউনিয়ন পৃথকভাবে শোক র্যালী, আলোচনা সভা, কবর জিয়ারত, পুষ্পমাল্য অর্পণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।
সকালে নওয়াপাড়া ট্রাক ট্রান্সপোর্ট শ্রমিক ইউনিয়ন শোক র্যালী, কবর জিয়ারত, কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবে। এরপর সংগঠনটির কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগ বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।
২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর সকালে উপজেলা পরিষদের নিকটে নওয়াপাড়া বাইপাস সড়কে মোটরসাইকেলআরোহী তিনজন সন্ত্রাসী মোল্যা ওলিয়ার রহমানকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে। তিনি অভয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া, তিনি নওয়াপাড়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর, খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার অভয়নগর উপজেলা প্রতিনিধি, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, ১২টি শ্রমিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত অভয়নগর শ্রমজীবী সমন্বয় পরিষদ ও নওয়াপাড়া ট্রাক ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এ হত্যাকান্ডের পরদিন (২৪/১১/১৪) নিহতের স্ত্রী নূরজাহান বেগম বাদী হয়ে তিনজন মোটরসাইকেলআরোহীসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে অভয়নগর থানায় একটি হত্যা এবং যশোর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের মোল্যা বাদী হয়ে সাতজনকে আসামী করে অস্ত্র আইনে অভয়নগর থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
অস্ত্র আইনে করা মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারি কর্মকর্তা ডিবি’র উপপরিদর্শক মো. মুরাদ হোসেন ২০১৫ সালের ১১ জুলাই যশোরে অবস্থিত জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে (অভয়নগর আমলী আদালত) অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালিন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের নারায়ণ মন্ডলের ছেলে শিশির মন্ডল, একই গ্রামের গ্রামের দুর্জয় বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী সুচিত্রা বিশ্বাস, চলিশিয়া গ্রামের হারুন মোল্যার ছেলে অহেদুজ্জামান সুমন, বেদভিটা গ্রামের মৃত দ্বীনবন্ধু রায়ের ছেলে প্রসেন রায়, নড়াইল সদর উপজেলার কালীনগর গ্রামের কাওছার ফারাজীর ছেলে আলামিন ফারাজী ওরফে আলা ওরফে সুমন, খুলনার ফুলতলা উপজেলার উত্তর দামোদর গ্রামের তোফায়েল আহম্মেদের ছেলে জাহিদুল ইসলাম রবেল ও ফুলতলা এমএম কলেজ রোডের মাহাবুবুর রহমানের ছেলে রাকিবুল ইসলাম।
এদিকে, ২০১৬ সালের ২১ মার্চ মোল্যা ওলিয়ার রহমান হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দেয় যশোর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের মোল্যা তদন্ত শেষে যশোরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।