এইচ এম জুয়েল রানা – অভয়নগর উপজেলার ভবদহ মহাবিদ্যলয়ের সড়কের বেহাল অবস্থা। ভবদহ মহাবিদ্যলয়ের শত শত ছাত্র ছাত্রী এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে এবং ভবদহের আশ পাশ এলাকার হাজার হাজার মানুষের এক মাত্র চলাচলের পথ এই সড়কটি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এল.জি.আর.ডি সড়কটি পাকা করনের লক্ষ্যে টেন্ডার দিয়েছে দীর্ঘ পাঁচ মাসের বেশি দুই কিলোমিটারের এই রাস্তাটি। ঠিকাদার সড়ক খোড়া খুঁড়ি করে,যেখানে সেখানে বালির স্তুপ ফেলে রেখে কাজ ঠিক মত না করায় স্থায়ী বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের বিঘœ ঘটছে। রাস্তাটি খোড়ার পর থেকে ভ্যান ,রিক্রসা ,ইজিবাইক চলাচল করতে পারছে না। এলাকাবাসি তাদের ভারী পন্যদ্রব্য মাথায় নিয়ে চলতে হচ্ছে, তেমনি দূরবর্তি ভবদহ মহাবিদ্যলয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত দুই কি:মি: রাস্তা পায়ে হেটে চলতে হচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ী সাহা ষ্টোরের মালিক দেব প্রসাদ সাহ জানান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ঠিকমতন রাস্তার কাজ না করায় কপালিয়া, চেঁচুড়ি, বর্ণি,খর্ণিয়া,রদ্রঘরা,কাঁটাথালী, মনোহরপুর,জামিরা,কলাগাছি, এলাকার সমস্ত লোকের শহর মুখী চলাচলের রাস্তা। প্রতিদিন বিকালে ভবদহ পার্কে ও বিখ্যাত আইসক্রিম খেতে ভীড় জমায় শত শত দর্শনার্থীরা। রাস্তা খোড়ার পর থেকে বহিরাগত দর্শনার্থীদের আনাগোনা নেই, তাই বেচাকেনা ও নেই। রাস্তা খোড়ার আগে প্রতিদিন ৩-৪ হাজার টাকার আইসক্রিম বিক্রি হত। রাস্তা খোড়ার পর থেকে ৪০০-৫০০ টাকার ও আইসক্রিম বিক্রি হয়না।
ভবদাহ মহাবিদ্যলয়ের ২য় বর্ষের ছাত্রী সোনিয়া খাতুন জানান, আমি আগে প্রতিদিন গাড়িতে আসতাম,রাস্তা খোড়ার পর থেকে ২ কি:মি: রাস্ত পায়ে হেটে আসতে হয়। আর একটু বৃষ্টি হলে রাস্তা দিয়ে হেটে আসা অসম্ভব হয়ে পড়ে। ঠিকাদাররা তাদের ইচ্ছামতন কাজ করছে, আর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের। স্থায়ী বাসিন্দা ভোলানাথ জানান ভবদহ মাছ বাজারে আসতে হলে এখন ৫-৬ কি:মি: ঘুরে আসতে হয়,আগে যেখানে ২-৩ কি:মি: পথ ছিল। রাস্তা চলাচলের অউপযোগি বলে, এখন মাছ বাজারে আমদানি-রপ্তানি খুব কম। ঠিকাদার ঠিকমতন কাজ না করায়,ছাত্র ছাত্রী সহ এলাকাবাসির জীবন দূর্বীষহ হয়ে পড়েছে। তাই রাস্তার কাজটি দ্রুত সমাপ্ত করার জোর দাবি জানান।