মনিরুজ্জামান মিল্টনঃ অভয়নগরে নিরুত্তাপ, ইমেজহীন ও বৈরী পরিবেশে কাটলো বাংলা নব বর্ষ।। শত বছরের ঐতিহ্য এবং বাঙ্গালী জাতির প্রানের উৎসব বাংলা নববর্ষ । প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এলো চৈত্র সংক্রান্তি শেষে পহেলা বৈশাখ,অর্থাৎ বাংলা নববর্ষ।বাংলা বছরের প্রথম দিন। ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে এই উৎসবে বাংগালী রা নতুন বর্ষ কে বরণ করতে পরিবার পরিজন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে, কেনাকাটা করে প্রিয় জনদের সাথে একান্তে সময় কাটায়। প্রতিবছর এই দিনটাকে ঘিরে অভয়নগর উপজেলায় বিভিন্ন জায়গায় আয়োজন হয় বিভিন্ন মেলা, অনুষ্ঠান সহ রঙিন সাজে সাজ্জিত হয় অভয়নগরের নওয়াপাড়া। মৌসুমি ব্যবসায়ী রা ইলিশ মাছ, পান্তা ভাত সহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পন্যের পসরা সাজিয়ে বসে। চলে মিষ্টি বেচাকেনার ধুম।ব্যবসায়রা পুরানা হিসাবের খাতা শেষ করে ধরে নতুন হিসাব, চলে হালখাতা। নতুন পোষাকে ছোট বড় ছেলে মেয়েরা নাগরদোলা সহ বিভিন্ন খেলায় মেতে থাকে,ফুলে ফুলে রঙিন হয় উঠে চারিদিক। যুবক-যুবতিরা সাদা পাঞ্জাবি আর হলুদ শড়ি পরে মাতিয়ে রাখে নওয়াপাড়া বাজার।কিন্তু এবার সব সবকিছুই অনুপস্থিত এবারের পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ।করোনার ভয়াল থাবা সবকিছু কেড়ে নিয়েছে।দুর্বিসহ করে তুলেছে জীবন।সম্পুর্ন নিরুত্তাপ জনশুন্য এক বৈরী পরিবেশে এলো এবারের বাংলা নববর্ষ ১৪২৮।করোনার মহামারী সব কিছুই কেড়ে নিয়েছে এ বছর। করোনা প্রতিরোধ কল্পে সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলছে লকডাউন। নিন্মবিত্ত, মধ্যবিত্ত, ছোট বড় ব্যবসায়ী সবাই ক্ষতিগ্রস্ত, জীবন যেন থমকে গেছে। মৃত্যুর মিছিলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে এলো নব বর্ষ। সারা দেশের ন্যায় অভয়নগর বাসীর জন্য এ নববর্ষ কি বার্তা দিয়ে গেলো এটা নিয়ে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত।কারো মতে এ বছর যাবে দুর্যোগের মধ্য দিয়ে। কেউ কেউ বলছেন মানুষ রোগ ব্যাধিতে মারা যাবে, কেঊ বলছেন মড়কের বছর।কেউ বলছেন সৃষ্টিকর্তা যা কিছু করেন তা মানুষের মংগল সাধনে করেন।যে যাই বলুক একটা চাওয়া সবার মুখে – সৃষ্টিকর্তা যেন সহসা আমাদেরকে এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতি থেকে মুক্তি দেন। সবকিছুই যেনো স্বাভাবিক হয়ে উঠে, আবার আমরা ফিরে পায় পুর্বের সেই সেই চিরচেনা রুপ। ১৪২৮ বাংলা বর্ষ বয়ে আনুক আনন্দ। সুখ সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক মানুষের জীবন।।
এম এম মনিরুজ্জামান, উপজেলা প্রতিনিধি অভয়নগর যশোর