দৈনিক সমাজের কন্ঠ

অভয়নগরে আদালতের নির্দেশে বন্ধ হলো সরকারি কমিউনিটি ল্যাট্রিন নির্মাণ কাজ

অভয়নগর প্রতিনিধি-অবশেষে আদালতের নির্দেশে বন্ধ হলো উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে বসত বাড়ির উঠানে সরকারি বরাদ্দকৃত জাতীয় সেনিটেশন প্রকল্পের কমিউনিটি ল্যাট্রিন নির্মাণের কাজ। আদালতের আদেশ পেয়ে মঙ্গলবার (৯-৭-১৯) সকালে পুলিশ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
জমির মালিক দরিদ্র কৃষক সন্তোষ মল্লিক জানান, তার সাথে প্রতারণা করে নির্মাণ করা হচ্ছিলো ওই ল্যাট্রিন। বসত বাড়িতে জবর দখল করে নির্মান কাজ বন্ধের জন্য তার স্ত্রী বনিতা মল্লিক নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করলে যশোর জেলা অতি: ম্যাজিষ্ট্রেট (নির্বাহী) আবেদনটি আমলে নেয়। আদালত শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও জমির প্রকৃত দখলদার বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্যকে আদেশ প্রদান করেন। আদেশ পেয়ে পুলিশ কাজ বন্ধ করে দেয়।
জান গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে জাতীয় সেনিটেশন প্রকল্পের কমিউনিটি ল্যাট্রিন নির্মাণের জন্য অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নে একটি ল্যট্রিনের জন্য ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৫শ ৬৯ টাকা বরাদ্দ প্রাপ্ত হয়। কাজটির টেন্ডর পায় স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস শাহ জাহান কর্পোরেশন।
চার মাসের মধ্যে নির্মান কাজ শেষ করার আদেশে কাজটি শুরু হয় গত বছরের মে মাসে। বাড়ির উঠানে ল্যাট্রিন নির্মানের কাজ শুরু হলে জমির মালিক তাতে বাধা দেয়। সন্তোষ মল্লিকের অভিযোগ তার সাথে প্রতারণা করে এক বছর আগে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুনীল মন্ডল টিপ সহি নেয়। টিপ সহি দেওয়ার সময় বলা হয়েছিলো তার ঘরের পেছনে সরকারি টাকায় একটি পায়খানা নির্মান করা হবে। পায়খানাটি বাড়ির সকলে ব্যবহার করবে। কয়েকদিন পর ওই ইউপি সদস্য স্থানীয় লোকজন নিয়ে তার উঠানে ল্যাট্রিণ নির্মান কাজ শুরু করতে আসে। এ সময়ে তারা কাজে বাধা দেয়। তাদের বাঁধা উপেক্ষা করে ঠিকাদার নির্মাণ কাজ চালাতে থাকে। কাজ বন্ধের জন্য তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করলে তিনি নালিশি জমি পরিদর্শণ করে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। প্রায় এক বছর কাজ বন্ধ ছিলো।
বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত শাহীনুজ্জামান কাজে বাধা দেওয়ার কারন শুনানীর জন্য গত ১৯ জুন জমির মালিকে তার কার্যালয়ে তলব করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই দিন সন্তোষ মল্লিককে কাজে বাধা না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। পরের দিন ২০ জুন তারিখ থেকে পুলিশের উপস্থিতিতে ঠিকাদার ল্যাট্রিন নির্মানে কাজ করতে থাকে। নিরুপায় হয়ে জমির মালিক সন্তোষ মল্লিকের স্ত্রী বনিতা মল্লিক আদালতের স্মরণাপন্ন হয়।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের অভয়নগর উপজেলার সহকারি প্রকৌশলী মুক্তা খাতুন জানান, আমাদের কাছে জমির মালিক সন্তোষ মল্লিকের টিপ সহি যুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের প্যাডে লিখিত সম্মতি পত্র আছে। তার সম্মতি নিয়ে আমরা নির্মান কাজ শুরু করেছি।