দৈনিক সমাজের কন্ঠ

অভয়নগরে টানা লকডাউনে চরম বিপাকে হতদরিদ্র, দিনমুজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ

মনিরুজ্জামান মিল্টন, অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধিঃ যশোরের অভয়নগর উপজেলায় একটানা দীর্ঘ লকডাউনে চরম বিপাকে বন্দরনগরী খ্যাত নওয়াপাড়ার খেটে খাওয়া হতদরিদ্র, রিক্সা/ভ্যান/ইজিবাইক চালক, দিনমুজুর ও অসহায় মানুষেরা। এমনই চিত্র পাওয়া গেছে বিভিন্ন স্থান ঘুরে।

সম্প্রতি অভয়নগর উপজেলায় করোনা সংক্রমণ ভয়ংকর রুপ নেওয়ায় ১লা জুলাই সারাদেশে একযোগে লকডাউন ঘোসনার ১সপ্তাহ আগে থেকেই কঠোর বিধিনিষেধের আওয়াতায় ছিলো অভয়নগর উপজেলা। দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা লকডাউনে প্রান্তিক খেটে খাওয়া মানুষের আয় কমেছে কয়েকগুন। অনেকের আয় নেমেছে প্রায় শুন্যের কোঠায়।

৫০ উর্দ্ধ এক ভ্যন চালক জানান এক দিকে টানা লকডাউন অন্যদিকে করোনার ভয়ে ভ্যান নিয়ে রাস্তায় বের হতে পারছি না। বাড়িতে স্ত্রী সন্তান দিয়ে মোট ৫জনের সংসার একার রোজগারে চলে। এখন রোজগার কমে যাওয়ায় সংসার চালাতে পারছি না।

চা বিক্রেতার ভাষ্য মতে দোকান না খুলতে পারলে কিভাবে কিস্তি দেবো? কি করে চাল/ডাল কিনবো? কি করে ওষুধ কিনবো?

চায়ের দোকানের পাশে থাকা এক ঝালমুড়ি বিক্রেতা জানান আমাদের ঝাল মুড়ি এখন আর মানুষ করোনার ভয়ে খাচ্ছে না এছাড়া স্কুলকলেজ বন্ধ থাকায় বিক্রি নেই। বাড়িতে কি নিয়ে যাবো?

একই দশা প্রত্যান্ত এলাকা থেকে আসা ঘাটের শ্রমিকদের।  তারা নওয়াপাড়া এসেছে ঘাটের কজের জন্য। এখন ঘাট বন্ধ ফলে ঘর ভাড়া নিজের খরচ চালাতেই পারছে না। লকডাউনে বাড়িতে যেতে পারছে না।  চরম বিপাকে মানবেতর দিনযাপন করছে তারা। আশার কথা এই যে নওয়াপাড়া পৌরসভার সুযোগ্য মেয়র পৌর এলাকায় কছু উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।

করোনার শুরুতে এসব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে খাদ্য দ্রব্য সহযোগিতা করেছেলেন অনেক ব্যাক্তি, সংগঠন,বিভিন্ন সংস্থা। এখন আর তেমনটা দেখা যাচ্ছেনা। অবশ্য প্রশাসনের পক্ষথেকে খাদ্য সহায়তার জন্য ৩৩৩ নম্বারে কল করার কথা বলা হলেও প্রান্তিক পর্যায়ে এই তথ্য অনেকেরই অজানা। ফলে সরকারের নেওয়া উদ্যোগ পুরোপুরি সফল হচ্ছে না।