স্টাফ রিপোর্টার – সন্ত্রাসীর দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় যশোরের অভয়নগর উপজেলার শংকরপাশা খেয়া ঘাটের মাঝি স্বপন কুমার বিশ্বাস (৪৫) কে হত্যার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। গত বুধবার রাতে অভয়নগর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রতিবাদে নওয়াপাড়া বাজার খেয়াঘাটের মাঝিরা ঘাট পারাপার বন্ধ করে দেয়। প্রায় এক ঘন্টা পারপার বন্ধ ছিল। এ সময় দু’পারে হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের আশ্বাসের পর আবার খেয়া পারাপার শুরু হয়।
ঘাটমাঝি স্বপন বিশ্বাস জানান, অভয়নগর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের মৃত আবুল গাজীর ছেলে উজ্জল গাজী আমার কাছে এবং নওয়াপাড়া বাজার খেয়াঘাটের মাঝি সুজন মাঝির নিকট ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবী করে। আমি ভয়ে ঈদের আগে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি। সে দুইদিন আগে বাকী ২০ হাজার টাকা দাবী করলে আমি আর দিতে পারবো না বলি এবং আমাকে মাফ করার কথা বলি। কিন্তু গত বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার সময় নৌকা বন্ধ করে বাড়ী যাওয়ার সময় উজ্জল আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো দেশীয় অস্ত্র (চাপাতি) নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে এসে ধাওয়া করে। আমি দৌড়ে পালাই এবং চিৎকার করতে থাকি। আমার চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে উজ্জল পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার(১১-৭-১৯) সকালে অন্যান্য মাঝিরা জানতে পেরে নওয়াপাড়া বাজার খেয়াঘাটের সব নৌকা বন্ধ করে দেয়। পরে পুলিশ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের আশ্বাসে প্রায় এক ঘন্টা পর আবার নৌকা চলাচল শুরু হয়।
চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মোল্যা বলেন “ সকাল ৭ টা থেকে মাঝিরা খেয়া পারাপার বন্ধ করে দেয়। প্রায় ২ ঘন্টা পর পুলিশ প্রশাসনের সাথে আলাপ আলোচনা পর সন্ত্রাসী উজ্জলকে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে আবার পারাপার শুরু হয়। এসময় দু’পারে হাজার হাজার মানুষ ব্যাপক ভোগান্তির স্বীকার হন।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন “ উজ্জল গাজী পুলিশের তালিকা ভুক্ত সন্ত্রাসী এবং চরমপন্থী সংগঠনের সাথে জড়িত। তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”