দৈনিক সমাজের কন্ঠ

অভয়নগরে শিশুশিক্ষার্থী নাঈমার হত্যাকারীর ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন

মনিরুজ্জামান মিল্টন, অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি:
যশোরের অভয়নগরে স্কুলশিক্ষার্থী নাঈমা(৮) হত্যার বিচার দাবীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার  (১৬আগষ্ট) নাঈমার সহপাঠি, স্কুল শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এবং এলাকাবাসী সকালে যশোর-খুলনা মহাসড়কের চেঙ্গুটিয়া বাজারে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ করে।
গত ৭ আগষ্ট (রবিবার) রাতে পুলিশ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফি কামালের মাছের ঘেরের কচুরিপানার মধ্যে থেকে স্কুলছাত্রী নাঈমা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ওই রাতে এ ঘটনায় শফি কামালের মাছের ঘেরের কর্মচারি আমজেদ মোল্যাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় পরেরদিন আমজেদ মোল্যাকে আসামি করে নাঈমার পিতা মনিরুল বিশ্বাস অভয়নগর থানায় মামলা করে।
স্কুলছাত্রী নাঈমা বিশ্বাস উপজেলার ঘোপেরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মনিরুল বিশ্বাসের মেয়ে।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় যশোর-খুলনা মহাসড়কের দুইপাশে চেঙ্গুটিয়া নামক স্থানে নাঈমার সহপাঠি,স্কুল শিক্ষার্থী, বিদ্যালযের অভিভাবক, শিক্ষক, এলাকাবাসী ও মহাকাল বাজারের ব্যবসায়ীসহ প্রায় পাঁচশত নারী পুরুষ মানববন্ধন ও সমাবেশে অংশ নেয়। এসময় তারা নাঈমার হত্যাকারীর ফাঁসির দাবী সম্বলিত নানা ধরনের প্লাকার্ড হাতে নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকে। এ সময় আওয়ামীলীগ নেতা মহিদুল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নিহত নাঈমার পিতা মনিরুল ইসলাম বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ নেতা সরদার বাবুল আক্তার, পৌর কাউন্সিলর রোকেয়া বেগম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল, ঘোপেরঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিতা পোদ্দার, রথখোলা মন্দিরের সভাপতি মন্টু ঘোষ, শ্রমিকনেতা মনোয়ার হোসেন, কৃষকলীগনেতা সভাপতি মাজেদ মুন্সী, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নেতা এম মহাসিন  প্রমুখ। বক্তারা দ্রুত বিচার আইনে আমজেদ মোল্যার ফাঁসির দাবি করেন।
 মনিরুল ইসলাম জানান, গত রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পাশের দাদা বাড়ি যাওয়ার কথা বলে নাঈমা উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত সোয়া ১১টার দিকে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মাঠে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফি কামালের মাছের ঘেরের কচুরিপানার মধ্যে থেকে পুলিশ মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে। তিনি বলেন”আমার মেয়েকে পাশবিক নির্যাতন করে আমজেদ হোসেন হত্যা করেছে। আমি দ্রুত বিচার আইনে আমজেদের ফাঁসি চাই।”