অভয়নগর প্রতিনিধি: যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরের সাধারণ গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ(টিআর) দ্বিতীয় পর্যায়ে কর্মসূচির প্রকল্পের আওতায় ফঁকিরবাড়ি(শিববাড়ি) পিচের রাস্তার মাথা হতে বিভাগদি বর্মণপাড়া ব্রীজ অভিমুখে ইটের রাস্তা সংস্কার বাবদ ৭১ হাজার ২৫০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত আগস্টমাসে রাস্তার ভাঙাচোরা ইট না পাল্টিয়ে দুইজন শ্রমিক দিয়ে দুইদিন পাঁচ ছয় জাগায় কয়েক ঝুঁড়ি মাটি ফেলা হয়েছে। এর আগে জুন মাসে ওই প্রকল্পের সভাপতি উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. তৈয়বুর রহমান কাজ সমাপ্ত দেখিয়ে সমুদয় টাকা তুলে নিয়েছেন।
ওই রাস্তাটি রুরাল কানেকটিভিটি ইমপ্রæভমেন্ট প্রেজেক্টের( আরসি আইপি) আওতায় পাকাকরণের জন্য অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় গত ২০১৮ সালের মার্চে সার্ভে করে মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। গত ২০২০ সালের জুলাই মাসে রাস্তাটি পাকাকরণের অনুমোদন পায়। এরপর গত ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে টেন্ডারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মোহম্মদ আলী এন্ড অ্যাসোসিয়েটস নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি পেয়েছে। নওয়াপাড়া শংরপাশা খেয়াঘাট থেকে ভাটপাড়া পর্যন্ত মোট ৪কি.মি ৮০০ মিটার সড়কটি নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। ফঁকিরবাড়ি(শিববাড়ি) পিচের রাস্তার মাথা হতে বিভাগদি বর্মণপাড়া ব্রীজ অভিমুখে ইটের রাস্তাটি ওই রাস্তার অংশ। নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদন পাওয়া রাস্তার কাজ অন্য কোনো প্রকল্পে ঢুকানো সুযোগ নেই। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান মো. তৈয়বুর রহমান নীতিমালা ভঙ্গ করে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ(টিআর) কর্মসূচির প্রকল্পের আওতায় দেখিয়ে সংস্কার কাজ না করেই টাকা তুলে নিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ফঁকিরবাড়ি(শিববাড়ি) পিচের রাস্তার মাথা হতে বিভাগদি বর্মণপাড়া ব্রীজ অভিমুখে ইটের রাস্তাটির দৈর্ঘ প্রায় তিনশত মিটার। রাস্তাটির বেশ কয়েক জাগায় ইট উঠে গেছে। রাস্তার দুইপাশে অনেক জাগায় মাটি না থাকায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কিন্তু রাস্তার উপর থেকে উঠে যাওয়া ইটের জাগায় নতুন করে কোনো ইট সাটানো হয়নি এবং ভাঙা ইটগুলো পাল্টানো হয়নি। রাস্তার দুইপাশে কোনো মাটি দেওয়া হয়নি। রাস্তার মাঝে কয়েকটিস্থানে ইট উঠে তৈরী হওয়া গর্তে মাটি ফেলে সমান করা হয়েছে।আর ব্রীজের পশ্চিমপাশদিয়ে শ্মশানে প্রবেশ করার ছয় ফুট চওড়া ইটের বাইপাশ সড়কের একাংশে দেড় থেকে দুইশত ইট সাটিয়ে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।
ওই রাস্তার পাশে বসবাস করা কয়েকজন জানিয়েছেন, তিন চার মাস আগে দুই ব্যাক্তি দুইদিন দু এক ঘন্টা কাজ করেছে। তাঁরা রাস্তার উপর ইট উঠে সৃষ্ট পাঁচ ছয়টি গর্তে কয়েক ঝুঁড়ি মাটি ফেলে কাজ শেষ করেছে। উঠে যাওয়া ইটগুলো পাল্টানো হয়নি।
বিভাগদি বর্মণপাড়ার অমর বর্মণ(৭০) বলেন,‘ ইট উঠে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেক আগেই রাস্তা সংস্কারের কথা শুনেছি। একদিন দুইজন লোক এসে রাস্তার উপর পাঁচ ছয় জাগায় কয়েকঝুঁড়ি মাটি ফেলে চলে গেছে। রাস্তাটি যেভাবে ছিল ঠিক সেভাবেই পড়ে আছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি।’
ওই গ্রামের দেব ুবর্মণ বলেন,‘ রাস্তায় কোনো ইটের কাজ হয়নি। চেয়ারম্যান সাহেবের পাঠানো দুইজন জনকে(শ্রমিক) দুইদিন দুএক ঘন্টা কাজ করতে দেখেছি। তাদের সাথে ঝুঁড়ি ও কোদাল ছিল। তাদেরকে রাস্তার উপর ইট না থাকা কয়েকটি জাগায় সাত আট ঝুঁড়ি করে মাটি ফেলতে দেখেছি।’
শেখর বর্মণ(৫০) বলেন,‘ ব্রীজের পশ্চিমপাশে শ্মশানে প্রবেশের বাইপাশ সড়কে দশ ফুট জাগায় ইট ছিল না। সেখানে দুইজন শ্রমিক দেড়দিন একট্রলি বালূ ফেলে দেড় থেকে দুইশত ইট বসিয়েছে।’
জানতে চাইলে প্রকল্প সভাপতি বাঘুটিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. তৈয়বুর রহমান বলেন,‘ নিজে থেকে রাস্তার সমস্যা ফাইন্ড আউট করে কাজ করেছি। সারাফতের বাড়ি থেকে ব্রীজ অভিমুখের প্রায় এককিলোমিটার ইটের রাস্তাটি চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপোযোগী ছিল। সংস্কার করারপর এখন তা চলাচলের উপযোগী হয়েছে। রাস্তার কোথাও কোনো অসুবিধা নেই।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মুশফিকুল রহমানের কাছে জানবার জন্য তার মুঠো ফোনে বারবার ফোন করলেও। তিনি ফোন রিসিভ করেননি । পরে তার কার্যালয়ে গেলে জানা যায় তিনি ছুটিতে আছেন ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন বলেন,‘এ ব্যাপারে আমি ফোনে কোন বক্তব্য দিব না আপনি আফিসে এসে বক্তব্য নেন।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ফঁকিরবাড়ি(শিববাড়ি) পিচের রাস্তার মাথা হতে বিভাগদি বর্মণপাড়া ব্রীজ অভিমুখে ইটের রাস্তাটির দৈর্ঘ প্রায় তিনশত মিটার। রাস্তাটির বেশ কয়েক জাগায় ইট উঠে গেছে। রাস্তার দুইপাশে অনেক জাগায় মাটি না থাকায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কিন্তু রাস্তার উপর থেকে উঠে যাওয়া ইটের জাগায় নতুন করে কোনো ইট সাটানো হয়নি এবং ভাঙা ইটগুলো পাল্টানো হয়নি। রাস্তার দুইপাশে কোনো মাটি দেওয়া হয়নি। রাস্তার মাঝে কয়েকটিস্থানে ইট উঠে তৈরী হওয়া গর্তে মাটি ফেলে সমান করা হয়েছে।আর ব্রীজের পশ্চিমপাশদিয়ে শ্মশানে প্রবেশ করার ছয় ফুট চওড়া ইটের বাইপাশ সড়কের একাংশে দেড় থেকে দুইশত ইট সাটিয়ে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।
ওই রাস্তার পাশে বসবাস করা কয়েকজন জানিয়েছেন, তিন চার মাস আগে দুই ব্যাক্তি দুইদিন দু এক ঘন্টা কাজ করেছে। তাঁরা রাস্তার উপর ইট উঠে সৃষ্ট পাঁচ ছয়টি গর্তে কয়েক ঝুঁড়ি মাটি ফেলে কাজ শেষ করেছে। উঠে যাওয়া ইটগুলো পাল্টানো হয়নি।
বিভাগদি বর্মণপাড়ার অমর বর্মণ(৭০) বলেন,‘ ইট উঠে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেক আগেই রাস্তা সংস্কারের কথা শুনেছি। একদিন দুইজন লোক এসে রাস্তার উপর পাঁচ ছয় জাগায় কয়েকঝুঁড়ি মাটি ফেলে চলে গেছে। রাস্তাটি যেভাবে ছিল ঠিক সেভাবেই পড়ে আছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি।’
ওই গ্রামের দেব ুবর্মণ বলেন,‘ রাস্তায় কোনো ইটের কাজ হয়নি। চেয়ারম্যান সাহেবের পাঠানো দুইজন জনকে(শ্রমিক) দুইদিন দুএক ঘন্টা কাজ করতে দেখেছি। তাদের সাথে ঝুঁড়ি ও কোদাল ছিল। তাদেরকে রাস্তার উপর ইট না থাকা কয়েকটি জাগায় সাত আট ঝুঁড়ি করে মাটি ফেলতে দেখেছি।’
শেখর বর্মণ(৫০) বলেন,‘ ব্রীজের পশ্চিমপাশে শ্মশানে প্রবেশের বাইপাশ সড়কে দশ ফুট জাগায় ইট ছিল না। সেখানে দুইজন শ্রমিক দেড়দিন একট্রলি বালূ ফেলে দেড় থেকে দুইশত ইট বসিয়েছে।’
জানতে চাইলে প্রকল্প সভাপতি বাঘুটিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. তৈয়বুর রহমান বলেন,‘ নিজে থেকে রাস্তার সমস্যা ফাইন্ড আউট করে কাজ করেছি। সারাফতের বাড়ি থেকে ব্রীজ অভিমুখের প্রায় এককিলোমিটার ইটের রাস্তাটি চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপোযোগী ছিল। সংস্কার করারপর এখন তা চলাচলের উপযোগী হয়েছে। রাস্তার কোথাও কোনো অসুবিধা নেই।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মুশফিকুল রহমানের কাছে জানবার জন্য তার মুঠো ফোনে বারবার ফোন করলেও। তিনি ফোন রিসিভ করেননি । পরে তার কার্যালয়ে গেলে জানা যায় তিনি ছুটিতে আছেন ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন বলেন,‘এ ব্যাপারে আমি ফোনে কোন বক্তব্য দিব না আপনি আফিসে এসে বক্তব্য নেন।’