স্টাফ রিপোর্টার – যশোরের অভয়নগরে সপ্তম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীকে উত্যক্তের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে শিক্ষক মিজানুর রহমান মুন্সীকে। তিনি ছাত্রীকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিলে অভিভাবকরা মাদরাসা কতৃপক্ষসহ পুলিশকে ঘটনা অবহিত করেন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নাউলী গোপীনাথপুর মিলনী দাখিল মাদরাসা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে সিদ্ধিপাশা ক্যাম্প পুলিশ। এ বিষয়ে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
সূত্র জানায়, উপজেলার নাউলী গোপীনাথপুর মিলনী দাখিল মাদরাসার ক্বারী শিক্ষক মিজানুর রহমান মুন্সী দীর্ঘদিন যাবৎ তারই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করে আসছিলেন। সোমবার দুপুরে কোরআন শিক্ষা ক্লাস শেষে ওই ছাত্রীকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। এরপর পবিত্র কোরআন শরীফ স্পর্শ করে শপথ করান। এ বিষয় জানাজানি করলে ছাত্রীর ক্ষতি হবে বলে তিনি হুমকি দেন। মাদরাসা ছুটির পর ছাত্রী বাড়ি ফিরে মা ও চাচাকে বিষয়গুলো জানায়। ছাত্রীর চাচা মোস্তাইন আকুঞ্জি অভিযোগ দাখিলে বিকেলেই মাদরাসায় উপস্থিত হন। তিনি মাদরাসা সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
মোস্তাইন আকুঞ্জী বলেন, ‘ক্বারী শিক্ষক মিজানুর রহমান মুন্সীর কারণে আমার ভাতিজি মানসিকভাবে বিপন্ন হয়ে পড়েছে। মেধাবী এ ছাত্রী এখন মাদরাসায় গিয়ে পাঠদান করতে রাজি হচ্ছে না। এ ব্যাপারে আবেদনের ২৪ ঘন্টা পার হলেও মাদরাসা কমিটি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় মঙ্গলবার সকালে অভয়নগর থানাধীন আমতলা পুলিশ ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। যার ভিত্তিতে দুপুরে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেছে।’
মাদরাসা সুপার মাওলানা আবদুর রশিদ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। শনিবার জরুরী মিটিংয়ের আহবান করেছি। আমাদের তদন্ত শুরুর আগেই পুলিশ ওই শিক্ষককে আটক করে নিয়ে গেছে।’
এদিকে অভয়নগর থানায় আটক শিক্ষক মিজানুর রহমান মুন্সী দাবি করেছেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার বিরুদ্ধে আনা ছাত্রীর অভিযোগ সত্য নয়।
অভয়নগর থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রীর মা,চাচা ও ছাত্রী থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। তার ভিত্তিতে শিক্ষক মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।