দৈনিক সমাজের কন্ঠ

অভয়নগরে চার সাংবাদিক কে লাঞ্চিত করার ঘটনায় বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড়

স্টাফ রিপোর্টার –  অভয়নগরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল সোবহান কর্তৃক চার সাংবাদিক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় সর্ব মহলে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও অভয়নগর উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি বলেন, সাংবাদিকদের সাথে কৃষি কর্মকর্তার এমন আচারণ ঠিক হয়নি। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। যশোর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান লায়লা খাতুন বলেন, কৃষি কর্মকতাকে স্যার না বলায় তিনি যদি সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। তা হলে তিনি কৃষকদের পরামর্শ দিতে গিয়ে কী করেন তা প্রশ্নবিদ্ধ। যশোর জেলা আ.লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক বলেন,একজন কৃষি কর্মকর্তার যার কাজ মাঠে ঘাটে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া। সে সাংবাদিকদের সাথে যদি এমন রুঢ় আচারন করে, কৃষদের সাথে তার আচারণ কেমন তা এ ঘটনায় বোঝা যায়। অভয়নগর উপজেলার যুদ্ধকালিন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার স ম মোশারফ হোসেন বলেন, কৃষি কর্মকর্তার এমন আচারণ ঠিক হয় নি। তিনিএ ঘটনায় নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন। এ ছাড়া উপজেলার অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন। সাংবাদিক লাঞ্চিতি হওয়ার ঘটনায় দেশব্যাপী সাংবাদিকদের মাঝে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। দেশের র্শীষ পর্যায়ের জাতীয়, আঞ্চিলিক ও অনলাইন নিউজ প্রটালে গুরুত্বের সাথে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে আগামী রোববার (১৫ সেপ্টম্বর) যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন নওয়াপাড়া বাজারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছে।
প্রসঙ্গত,অভয়নগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তাকে স্যার না বলে ভাই বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে লাঞ্চিত করে তার অফিস থেকে ৪ সাংবাদিককে বের করে দেয়। ওই কর্মকর্তা তখন ২ জন মহিলার সংগে খোশগল্প করছিলেন। সোমবার সকালে উপজেলা কৃষি অফিসে এ ঘটনা ঘটে। ওই কর্মকর্তার নাম আব্দুস সোবহান। এ ঘটনায় অভয়নগরে সাংবাদিকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
দৈনিক জন্মভূমি ও দৈনিক আজকালের খবর প্রত্রিকার সাংবাদিক শেখ আতিয়ার রহমান জানান, অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সহ অনেক কর্মকর্তা নিয়মিত অফিসে আসেন না। গতকাল রোববার সকাল ১০ টায় সময় ওই অফিসে যেয়ে কৃষি কর্মকর্তাকে না পেয়ে কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা আব্দুস সোবহানের অফিসে যেয়ে দেখি ২ জন মহিলাকে নিয়ে খোশগল্প করছেন। আমাকে দেখেই চমকে ওঠেন। আমি তাকে ভাই বলে কৃষি কর্মকর্তা কোথায় আছেন জানতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার দিকে তেড়ে আসেন। এবং ওই অফিসের পিওনকে ডাকাডাকি করে আমাকে বের করে দিতে বলেন। এসময় পাশে থাকা দৈনিক খুলনাঞ্চলের প্রতিনিধি সাংবাদিক রিপানুর ইসলাম এগিয়ে গেলে তাকেও লাঞ্চিত করে বের করে দেন।
এ ঘটনার পর অপরাজেয় বাংলা নিউজ প্রটালের প্রকাশক ও সম্পাদক এবং দৈনিক জনতার অভয়নগর প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম ও দৈনিক খুলনা টাইমসের অভয়নগর প্রতিনিধি শেখ জাকারিয়া রহমান বিষয়টি জানতে ওই কর্মকর্তার নিকট যেয়ে ভাই বললে তাদেরকেও অফিস থেকে বের দেন এবং বলেন আমি একজন বিসিএস ক্যাডার আমার সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জানেন না?
সাংবাদিক রিপানুর ইসলাম বলেন “ উপজেলা কৃষি অফিসের আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তিনি প্রায়ই তার অফিসে মহিলাদের নিয়ে খোশগল্পে মেতে থাকেন। গতকাল সোমবার আমিও সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে ছিলাম। যেয়ে আতিয়ার ভাইয়ের ঘটনা জানতে গেলে আমার সাথেও খারাপ আচরণ করেন।
এ ব্যাপরে উপজেলা অভয়নগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুস সোবহানের মোবাইল (০১৭৯৯৪৮০২৪৩) ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর যশোরের উপ- পরিচালক মো: এমদাদ হোসেন শেখ বলেন “ অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সামদানী ৩ দিনের ছুটিতে রয়েছেন। আপনারা একটু মিমাংসা করে নেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সামদানী বলছেন তিনি এক দিনের ছুটিতে রয়েছেন। এবং এসে বিষয়টি তিনি দেখবেন।