দৈনিক সমাজের কন্ঠ

অভয়নগরে ইব্রাহিম সরদার হত্যার ২০ বছর পার হলেও শেষ হয়নি বিচার

বিশেষ প্রতিনিধিঃ যশোরের অভয়নগর উপজেলার বহুল আলোচিত নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা ইব্রাহিম হোসেন সরদার হত্যার ২০ বছর অতিবাহিত হলেও বিচার পায়নি ভুক্তভোগীর পরিবার। ব্যক্তি হিসেবে ইব্রাহিম হোসেন সরদার ছিলেন একজন সৎ নিষ্ঠাবান ও সদালাপী মানুষ এবং আ’লীগের একজন সক্রিয় নেতা। রাজনৈতিক জীববেও সে ছিলেন বেশ জনপ্রিয়।

২০০৩ সালের ৫ নভেম্বর সন্ধায় নওয়াপাড়া রেলস্টেশনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নৃশংসভাবে
খুন হয় এই মহান মানুষটি। হত্যার দুদিন পরে নিহতের ভাই ইয়াহিয়া সরদার বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে অভয়নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করে। আলোচিত হত্যামামলার রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশের বেশ কয়েকটি ইউনিট গ্রেফতার করা হয় হত্যায় জড়িত বেশ কয়েকজনকে। হত্যার সাথে জরিত থাকার কথা স্বীকার করে ৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেয় উপজেলার গুয়াখোলা এলাকার রবিউল ইসলাম রবু, রানাভাটা এলাকার নাসির মোড়ল সহ ড্রাইভার পাড়া এলাকার জুলু। তাদের জবানবন্দিতে উঠে আসে হত্যায় জড়িত আরো কয়েক জনেন নাম, তবে তারা এযাবৎ কাল ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে গেছে। জানা গেছে, জড়িত কয়েকজন রয়েছে দেশের বাইরে (ভারতে)। মাঝেমধ্যে অবৈধ পন্থায় তারা দেশে আসে বলেও গুঞ্জন আছে। বর্তমান হত্যা মামলাটি যশোরের বিজ্ঞ স্পেশাল জজ আদালতে চলমান রয়েছে যাহার মামলা নং এস, সি ৪০৪/০৮

এ বিষয়ে মামলার বাদি ইয়াহিয়া সরদার আক্ষেপ করে বলেন, আমার ভাইকে প্রায় ২০ বছর আগে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। হত্যায় জড়িত কয়েকজন এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। কোর্টে মামলা চলমান। মামলায় সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। গত কোর্টে আমার সাক্ষীর জন্য দিন ছিল। এ মামলা আসামীরা ঠিকমত কোর্টে আসেনা, সেজন্য আমার সাক্ষী না নিয়ে আমাকে ফিরিয়ে দিয়ে পরবর্তীতে আগামী ১৪ এপ্রিল দিন ধার্য করেছে। জানিনা এভাবে আর কত বছর ঘুরতে হবে। বয়সের কারণে শারীরিক ভাবে আমিও অসুস্থ, আমার বয়সও প্রায় শেষ। জানিনা ভাইয়ের হত্যার বিচার দেখে মরতে পারবো কিনা।