মোঃ রায়হান – পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে যশোরের অভয়নগর উপজেলায় অংশগ্রহণকারী ১১ প্রার্থীর মধ্যে ৪ ভাইস চেয়ারম্যান ও ১ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মোট ৫ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এছাড়া মোট ভোট প্রদান করেছেন ৪১ দশমিক ৩৮ ভাগ ভোটার। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রকাশিত বেসরকারি ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আইন-১৯৭২ অনুযায়ী কোনও প্রার্থী নির্বাচনে প্রদত্ত (কাস্টিং ভোট) ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম; অর্থাৎ ১২ দশমিক ৫ শতাংশের কম ভোট পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। উপজেলা নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনে ১০ হাজার টাকা জামানত দিতে হয়। অভয়নগর উপজেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা রিটার্নিং অফিসার হুমায়ুন কবীর সাক্ষরিত প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফল ‘বার্তা প্রেরণ শিট’ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অভয়নগর উপজেলায় ১ লাখ ৯৪ হাজার ৪৩৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন মাত্র ৮০ হাজার ৪৫২ জন। শতকরা হিসেবে ৪১ দশমিক ৩৮ ভাগ। জামানত বাঁচাতে প্রতি প্রার্থীর ভোটের প্রয়োজন ছিল ১০ হাজার ৫৭ ভোট। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তারা হলেন আতিয়ার রহমান বাবু (প্রাপ্ত ভোট ৬৪২৮), আব্দুল মান্নান (প্রাপ্ত ভোট ৪৩৭২), বিপুল শেখ (প্রাপ্ত ভোট ৯২৩৩) ও হুমায়ুন কবির মধু (প্রাপ্ত ভোট ৭০৬) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফরিদা বেগমের (প্রাপ্ত ভোট ৭৯৫০) জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর। তিনি পেয়েছেন ৪১ হাজার ৫৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি রবিন অধিকারী ব্যাচা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৫৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আখতারুজ্জামান তারু। তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৭৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি আ. রউফ মোল্যা পেয়েছেন ২২ হাজার ৯৪২ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ডা. মিনারা পারভীন ৩৬ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি ডা. সাফিয়া খানম পেয়েছেন ৩১ হাজার ৬২০ ভোট।