নাজিম উদ্দীন জনিঃ ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দু’জন নেতা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করার প্রতিবাদে যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ তৌহিদী জনতা।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকালে আসরের নামাজের পর বাগআঁচড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে একটি বিশাল মিছিল বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষীন করে জিরো পয়েন্টে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা। আর ওই একই ইস্যুতে দলটির দিল্লি ইউনিটের প্রধান নাভিন জিন্দাল টুইট করার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহনকারী শার্শা থানা আওয়ামিলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ কুরবান আলী বলেন, ভারতের এই বিজেপি হিন্দুত্ববাদী সরকার এবং তাদের নেতৃবৃন্দ প্রায়শই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করে এবং মুসলিমদের অবমাননা করে কথা বলে এর প্রতি তীব্র নিন্দাজ্ঞাপন করছি। পৃথিবীর সকল মুসলিমদের আহবান জানাই তারা যেন ভারতসহ যে রাষ্ট্রই এমন আচরণ করবে তাদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।বিশ্ব মুসলিম এক হয়ে তারা যেন সকল অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশের সরকারের নিন্দা প্রস্তাব এবং ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব করার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ভারতের বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা যে মন্তব্য করেছেন তা ন্যক্কারজনক। মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই ভারত সরকারের এ কর্মকাণ্ডে নিন্দা জানাতে হবে এবং ভারত রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এর প্রতিবাদ জানাতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, ‘ভারতের সরকার দলীয় নেতারা প্রত্যক্ষ ও উদ্দশ্য প্রনোদিতভাবে ইসলামকে অবমাননা করে রাসুল (সা.)-কে নিয়ে কটুক্তি করেছে। এর প্রতিবাদে আজ আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। শুধু ভারতে নয়, বিশ্বের অনেকগুলো দেশে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। আমরা সেই সব ঘটনার নিন্দা জানাই।
এ প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন,বাগআঁচড়া কেন্দ্রেরীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা খায়রুল আলম,বাগআঁচড়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাসক মাও হাবিবুর রহমান, মাওলানা আহসানউল্লাহ জিহাদি সহ অনেকে।
উল্লখ্য,সাম্প্রদায়িক এ ইস্যুতে গত কয়েকদিন ধরে পুরো দেশ হৈচৈ করলেও ভারত সরকার তাতে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামায়নি। দু’দিন আগে কাতার সরকার দোহাতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে বিজেপি মুখপাত্রের বক্তব্য নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলার পর নরেন্দ্র মোদীর সরকার নড়েচড়ে বসে।
এরপর কুয়েত, বাহরাইন, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), সৌদি আরব থেকে শুরু করে মুসলিম দেশগুলো একে একে ক্ষোভ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।