মোঃ শাহারুল ইসলাম রাজ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া বাজারে আগুনে পুড়ে গেছে কয়েকটি দোকান। ক্ষতি সাধন হয়েছে কয়েক লক্ষ বা প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল। ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বের অবহেলায় ক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।
জানা যায়, শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বাঁকড়া বাজারের হযরত আলীর লেপ-টোশকের দোকানে তুলার গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মূহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের অন্যান্য দোকান গুলোতে। এসময় হযরত আলীর দোকান সহ পাশের আশরাফুল ইসলামের পানি সোধনাগার, হাসমত আলীর লেপ-টোশক দোকানের তুলার গোডাউন, হাদিউজ্জামান, রাজমিস্ত্রী মহাসিনের অফিস, সেলিম রেজার ইলেক্টুনিক্সের দোকান এবং এমআর এডাস স্কুলের একটি অংশে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আগুন লাগার সাথে সাথে ঝিকরগাছা ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলেও তারা দেরি করে এসেছিল এবং পানি দেয়ার জন্য দ্রুত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। ফলে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসকে জানানোর প্রায় দুই ঘন্টা পরে তারা ঘটনাস্থলে আসে। তাও পানি তোলার ম্যাশিন বাদেই হাফ গাড়ি পানি নিয়ে আসলে, সে পানি দ্রুত ফুরিয়ে যায়। ফলে তাদের আবার পানি ভরার জন্য অন্য জায়গায় চলে যেতে হয়। পরে মণিরামপুরের ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পানি তোলার ম্যাশিন এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আসার আগে স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা আগুন নেভানোর জন্য প্রানপণ চেষ্টা চালায়। তাদের চেষ্টার আগুন অনেক নিয়ন্ত্রণে ছিল।
এ ব্যাপারে বাঁকড়া বাজারের আব্দুল গফুর নামের এক ব্যবসায়ী জানান, আগুন লাগার সাথে সাথে আমি ঝিকরগাছা ফায়ার সার্ভিস অফিসে জানিয়েছি কিন্তু তারা কোন কর্ণপাত করেনি। পরে ঝিকরগাছা থানা থেকে তাদের জানালে প্রায় দুই ঘন্টা পরে ম্যাশিন বাদেই ঘটনাস্থলে আসে।
তরিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী জানান, বারবার ফোন করেও ফায়ার সার্ভিসের ঝিকরগাছা ইউনিটকে পাওয়া যায়নি। পরে পানি না নিয়ে দায়সারা অবস্থায় আগুন নিভাতে এসেছিল ফায়ার সার্ভিসের লোক।
বিল্লাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, আমরা কয়েকজন একাধারে ফোন করেছি কিন্তু ফায়ার সার্ভিস কারও কথায় কর্ণপাত করেনি।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম জানান, তার প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া দোকান, স্কুল ও অফিস দিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার সম্পদ পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানান।