দৈনিক সমাজের কন্ঠ

বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন তার সবই ছাত্রলীগের অবদান -স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কণ্ঠ  ডেস্ক   :২০ জুলাই, ২০১৯ –

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ যা কিছু অর্জন তার সবই ছাত্রলীগের অবদান। তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের কোনো মিছিল না গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো আন্দোলন করতে পারতো না। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন সব কিছুতেই ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে। যাদের ছাত্রত্ব আছে, যাদের কোনো দুর্নাম নেই তাদেরকে ছাত্রনেতা বানানোর আহ্বান জানান তিনি।

আজ শনিবার বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ চত্ত্বরে জবি শাখা ছাত্রলীগের দ্বিতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জগন্নাথ কলেজ ও পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের শক্ত একটি ঘাঁটি এবং আগামীতেও এটা বজায় থাকবে। ছাত্রলীগের মধ্য থেকেই আমাদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরি হবে। ২০৪০ এ আমরা উন্নত বাংলাদেশে পৌঁছে যাবে। তখনকার নেতৃত্ব দেবে ছাত্রলীগের নেতারা। নতুন নতুন নেতারা এসে আমাদের স্থান পূরণ করে দিবে।

উদ্বোধক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, নেতা নয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী হওয়া টাই বড় বিষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণা করে এগিয়ে যেতে হবে। পদ না পেয়ে হারিয়ে যাওয়া যাবে না।

প্রধানবক্তা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, বিতর্কিত, অযোগ্য ও তদবিরে কেউ নেতা হতে পারবে না। যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইতিবাচক আদর্শ ধারণ করবে তারাই নেতা হবে। যাদের মধ্যে শৃঙ্খলা নেই তারা ছাত্রলীগের কর্মী হতে পারে না।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম টিটনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী নজীবুল্লাহ হীরু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ জগন্নাথ ছাত্রলীগের সাবেক শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন।

ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম ফরাজি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাকিল, সাবেক সহ সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাবেক সহ সভাপতি আশরাফুল ইসলাম টিটন, সাবেক উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক নাহিদ পারভেজ, সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হোসেন মোবারক রিসাদ।

সাধারণ সম্পাদক পদে একই শাখার সাবেক সহ সভাপতি আল আমীন শেখ, সাবেক দপ্তর সম্পাদক শাহবাজ হোসাইন বর্ষণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসাইন, আসাদুজ্জামান আসাদ, আসাদুল্লাহ আসাদ এগিয়ে আছেন। এ ছাড়া সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক তারেক আজীজ, মো.নাজমুল আলম, সাবেক সহসভাপতি শরিফুল ইসলাম, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য শেখ মেহেদী হাসান, সহ-সম্পাদক মাহমুদ হোসাইন পারভেজের নাম রয়েছে এ তালিকায়।

এদিকে আজকের এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পদপ্রত্যাশী নেতারা নিজেদের জনশক্তি দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের শক্ত অবস্থান দেখানোর জন্য রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল, কলেজের ছাত্র, অছাত্র ও শ্রমিক ভাড়া করে নিয়ে এসে শো-ডাউন দিতে দেখা গেছে। এ ছাড়া কয়েকজন পদপ্রত্যাশীদের নিজের সাথে ছাত্রশিবির, ছাত্রদলের কর্মীদের নিয়ে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।