সমাজের কণ্ঠ ডেস্ক :১৮ আগস্ট, ২০১৯ -পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানিয়েছেন, যেকোনো দিন রোহিঙ্গাদের নিজদেশে পাঠানো শুরু হতে পারে। এটা চলমান প্রক্রিয়া, সরকারের পক্ষ থেকে কাজ চলমান আছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এর অগ্রগতি হবে।
আজ রবিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিসে আয়োজিত রোহিঙ্গা বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তবে রোহিঙ্গাদের তাদের দেশ মিয়ানমারে ফেরানো কবে শুরু হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি কোনো সুনির্দিষ্ট সময় বলতে রাজি হননি।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমরা মনে করি রোহিঙ্গারা সম্মানের সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যাবে। এজন্য সরকারিভাবে আলোচনা অব্যাহত আছে, আশা করা যায় আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এর অগ্রগতি আসবে।
তিনি বলেন, পর্দার অন্তরালে অনেক কিছু হচ্ছে, চেষ্টা হচ্ছে। তবে সব চেষ্টা সফল হবে- এমন নয়। আগামী কয়েক সপ্তাহ আমরা রোহিঙ্গাদের উৎসাহিত করব, যাতে তারা নিজ দেশে ফিরে যায়। এটা শুধু বাংলাদেশের নয়, এটা রোহিঙ্গাদেরও প্রধান উদ্দেশ্য। যদি তারা ফিরে না যায়, তবে শুধু জমির অধিকার নয়, সব অধিকার হারাবে তারা।
এ সময় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের রিফিউজি হিসেবে আশ্রয় দেইনি, মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশ জনবহুল হওয়ায় এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে স্থানীয়ভাবে পুনর্বাসন সম্ভব না।
তিনি বলেন, আমরা মনে করেছিলাম প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রগুলো এ সংকটে এগিয়ে আসবে, কিন্তু তা হয়নি। একটি দেশে গণহত্যা হচ্ছে অথচ বিশ্ব নীরব, তাদের নিজদেশে ফেরানোর কোনো উদ্যোগ নেই। কোথায় বিশ্ব, কোথায় বিশ্ব আইন-মানবাধিকার।
সম্প্রতি মিয়ানমারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী ২২ আগস্ট প্রায় সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নেওয়ার দিন ঠিক হয়েছে।
আয়োজিত সেমিনারে গ্রিন অ্যান্ড রেড রিসার্চের পরিচালক শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর পরিচালনায় বিভিন্ন এনজিও এবং দূতাবাসের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।