পটুয়াখালীর বাউফলে গলায় ফাঁস দেওয়া যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

0
0

আহসান উল্লাহ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার (২৯শে ডিসেম্বর ) বেলা অনুমান ১১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গোসিংগা গ্রামের মতলেব গাজী বাড়ির পূর্বপাশে পুকুর সংলগ্ন রেন্ট্রি গাছে রশিতে ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ওই যুবকের নাম মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম গাজী (২৫)। তার বাবার নাম মৃত মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন গাজী।

জানা গেছে, বুধবার ভোরের দিকে পাশের বাড়ির এক লোক ঘটনাস্থল দিয়ে আসার সময় ঝুলন্ত মরদেহ দেখে ডাকচিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন ও পরে আশপাশের লোকজন এসে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়।

নিহত জহিরুলের একমাত্র বড় ভাই সাইফুল ইসলাম গাজী জানান, তিনদিন আগে আমার ছোট ভাই জহিরুলকে বিবাহ করাই। তবে বউ উঠিয়ে আনা হয়নি, কিছুদিনের মধ্যে উঠিয়ে আনা হবে। হঠাৎ এরকম একটি ঘটনা আমি মানতে পারছিনা।

সাইফুল আরও জানান, আমার বাবা মা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার দুই চাচা পরিবার মিলে আমাদের জমিজমা জোরপূর্বক দখল করে রাখে। তা নিয়ে আমরা বাবা মা হারা দুভাই আজ থেকে ১০/১২ বছর যাবত স্থানীয় শালিশ মীমাংসা চাইলে তারা মানে না বরং বিভিন্ন হুমকি ধামকি এবং মারধর করে আসছে। কিছুদিন আগে তারা মিলে আমার ঘরদুয়ার কুপিয়ে পিটিয়ে ভাংচুর সহ আমাদের মারধর করে। এ নিয়ে বিচার বসলেও তারা মানেননি তাই এব্যাপারে পটুয়াখালীর আদালতে মামলা চলমান সহ স্থানীয় থানায় ৩/৪টি অভিযোগ রয়েছে। আমরা সন্দেহ করছি আমার ভাইকে তারাই মেরে ফেলেছে।

স্থানীয়রা জানান, বাবা মা হারা ওরা দুভাই খুব শান্ত ভদ্র ছিল। জহিরুল ঢাকাতে থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করে আর বড় ভাই সাইফুল বাড়ি থেকে অটোগাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। তবে ওদের পৈতৃক জমিজমা নিয়ে অনেকদিন ধরে ওদের দুই চাচা পরিবারের দ্বন্দ লেগে ছিল।

এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি আল-মামুন বলেন, লাশ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here