বেনাপোল কাস্টমস হাউজে ভোল্ট ভেঙে১৯কেজি৪শ,গ্রাম স্বর্ণ চুরি হয়েছে……তদন্ত শেষে ডিএসবির(এএসপি)

0
0
নাজিম উদ্দীন জনি,শার্শা(বেনাপোল)প্রতিনিধি যশোরের বেনাপোল কাস্টমস হাউজের লকার ভোল্ট ভেঙে ১৯ কেজি ৩শ” ৮৫ গ্রাম স্বর্ণ চুরি হয়ে গেছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ১০ টায় প্রাথমিক তদন্ত শেষে ডিএসবির (এএসপি) তৌহিদুর রহমান আনুষ্ঠানিক ভাবে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শুক্র, শনি অথবা রবিবার অফিস বন্ধ থাকায়, এ তিন দিনের মধ্যে চোর চক্র এ চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে, সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি টের পান কাস্টমস কর্মকর্তারা।
এ চুরির ঘটনায় কাস্টমস হাউজের একজন ইন্সপেক্টর, একজন সিপাইসহ ৫ জনকে জিজ্ঞেসবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন, ইন্সপেক্টর সাহাবুল সর্দার, সিপাই পারভেজ, এনজিও কর্মি আজিবর, মহব্বত ও সুরত আলী।
চুরির ঘটনায় কাস্টমসের যুগ্ন কমিশনার শহিদুল ইসলামকে প্রধান করে ৯ সদস্য বিশিস্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের  মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কাস্টমস হাউজের উক্ত ভোল্টে
জব্দকৃত ২৯ থেকে ৩০ কেজি স্বর্ণ ও বৈদেশিক মুদ্রা ছিল, কষ্টিপাথরসহ মুল্যবান দ‌লিলপত্র ছিল। কিন্তু চুরি হওয়ার পর আমরা প্রাথমিক তদন্তে সেখান থেকে শুধু মাত্র ১৯ কেজি ৩ শ” ৮৫ গ্রাম স্বর্ণ মিসিং পেয়েছি। অন্য কোন মালামাল চুরি হয়েছে কিনা সেটা তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের জানানো হবে বলে তিনি জানান।
এ সময় সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, এত নিরাপত্তা ও সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা স্বত্বেও কিভাবে চুরি হলো? আর কেনইবা সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে চোর চক্রকে সনাক্ত করা হচ্ছে না। এর জবাবে তিনি বলেন, এ তিনদিন উক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ ছিল।  যে কারণে সিসি ফুটেজ দিয়ে চোর চক্রকে সনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে, তদন্ত করে চোর চক্রকে ধরা হবে বলে জানান।
এসময় তদন্ত টিমের সহযোগী হিসাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, যশোর ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর সোহেল আল মামুন, র‌্যাবের উপ-সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান, খুলনা থেকে সিআইডির ইন্সপেক্টর হারুনা-অর-রশিদ, নাভারন সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান ও ডিজিএফ আই, এনএসআই এর গোয়েন্দা সদস্যরা।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান বলেন, ‘বেনাপোল কাস্টমের বোল্টে বিকল্প চাবি ব্যবহার করে সোনা চুরি  করা হয়েছে। এখানে পুলিশ সুপার মঈনুল হকসহ সিআইডি ও পিবিআই কর্মকর্তারা তদন্ত কাজ চালাচ্ছেন। আশা করা যায় দ্রুতই দুর্বৃওদের আটক করা সম্ভব হবে। এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং-২২

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here