বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধঃ আটকা পড়েছে দুই শতাধিক পণ্য বোঝায় ট্রাক

0
0
নাজিম উদ্দীন জনি,শার্শা(বেনাপোল)প্রতিনিধিঃ দেশের বৃহত্তম স্থল বন্দর বেনাপোলে সিএন্ডএফ স্টাফদের বাণিজ্যিক কাজে পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশে বিএসএফ নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।
এতে ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় পণ্য বোঝাই দুই শতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে বেনাপোল বন্দরে। পেট্রাপোল বন্দরেও একই অবস্থা।
বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, বাণিজ্যিক সুবিধার্থে দুই পাশের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফরা কাগজপত্র প্রস্তুত করতে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু হঠাৎ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্যরা স্টাফদের ভারতে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
ভারতীয় সিএন্ড এফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক ঘোষ বলেন, যে বিএস এফ এর আকষ্মিক এমন হটকারি সিদ্ধান্ত উভয় পক্ষের জন্য দুঃখজনক বিষয় যা আমাদের কাম্য নয় । আমরা আমাদের সাধ্য মত চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক আওয়াল হোসেন বলেন, ভারত বাংলাদেশ উভয় বন্ধু প্রতিম দেশ তাই অচিরেই উভয় দেশের উর্ধ্বতন কর্মকতা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা উচিত।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বিএসএফ যদি অহেতুক আমাদের কর্মচারীদের ভারতে কাগজপত্র আমদানী রপ্তানি বানিজ্যের সহায়তায় ভারতে প্রবেশ করতে না পারে তাতে দুই দেশের ব্যাবসায়িক সম্পর্কের অবন্নতি হবে যাহা সরকারের রাজস্ব আহরণের বাঁধা হবে বলে মনে করি ।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার জনাব উত্তম চাকমা বলেন, বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফরা যদি ভারতে কোন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকে তাদের কে সনাক্ত করুন এবং কি পদ্ধতি ব্যবহার করে উভয় দেশের ব্যাবসায় কার্যক্রম সচল থাকে তার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য তার দপ্তর কতৃক প্রচেষ্টা অব্যহত আছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল বলেন, কোনো আলোচনা ছাড়াই বিএসএফের এমন সিদ্ধান্ত বেআইনি। এতে বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বাণিজ্য সচল করার চেষ্টা করছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here