দৈনিক সমাজের কন্ঠ

বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানী রফতানি বানিজ্য বন্ধ

নাজিম উদ্দীন জনি,শার্শা(বেনাপোল)প্রতিনিধি:ভারতের উত্তর ২৪ পরগনায় বিধান সভা নির্বাচন আর সাপ্তাহিক ছুটিতে দেশের সবচেয়ে বড় বেনাপোল স্থলবন্দরের সাথে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে টানা দু’দিন আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকছে। তবে এপথে পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ বন্ধ থাকলেও শর্ত সাপেক্ষে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত সচল থাকছে।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, ‘ভারতের উত্তর ২৪ পরগুনা জেলার বনগাঁ মহাকুমা অঞ্চলে বৃহস্পতিবার বিধানসভা নির্বাচন।এ উপলক্ষে পেট্রাপোল বন্দরের সাথে বেনাপোল বন্দরের সকল প্রকার আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে বলে ওপারের বন্দর ব্যবহাকারীরা জানিয়েছেন। এছাড়া ২৩ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসাবে এদিনও আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ও বন্দর থেকে পণ্য খালাস হবেনা। এতে বন্দরটি টানা দুইদিন বন্ধ থাকছে।
পেট্রাপোল স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী মুঠোফোনে জানান, পেট্রাপোল বন্দর বঁনগা থানার মধ্যে পড়েছে। নির্বাচনের মধ্যে বানিজ্যিক নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে ব্যবসায়ীরা এপথে আমদানি-রফতানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন,বৃহস্পতিবার এপথে ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলে ও বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস সচল থাকবে।
আগামী ২৪ এপিল থেকে স্বাভাবিক নিয়মে আবারও এপথে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে। বন্ধের মধ্যে যাতে বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবেও বলে জানান তিনি।
জানা যায়, প্রতিদিন এপথে ভারত থেকে প্রায় ৫শ’ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এছাড়া বাংলাদেশি প্রায় দেড়শ’ ট্রাক পণ্য রফতানি হয় ভারতে। বর্তমানে সরকারী আর সপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া অনান্য দিনে ২৪ ঘণ্টা চলে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। আমদানি পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস, ক্যেমিকাল, তুলা, মাছ,মোটরপার্টস, মেশিনারিজ ও শিশু খাদ্য উল্লেখ্যযোগ্য। রফতানি পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগ পাট ও পাটজাত দ্রব।সরকার প্রতিদিন আমদানি পণ্য থেকে ২০থেকে৪০ কোটি টাকা রাজস্ব খাতে জমা হয়।