সমাজের কণ্ঠ ডেস্ক : ১০ জুলাই, ২০১৯ –
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের জনগণের প্রিয়নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার নীলনকশা তৈরি করেছে সরকার।
আজ বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ক্ষমতার মত্ততায় দেড় বছর বন্দি রাখা হয়েছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ। তাঁর জামিনে এখন সরাসরি বাধা দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। আদালতে হস্তক্ষেপ করার পাশাপাশি দেশনেত্রীর আইনজীবীদেরও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, নিশিরাতে ভোট ডাকাতির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এখন ভোট ডাকাত সরকারের আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় থাকার ন্যূনতম অধিকার নেই। সারা দেশের ১০ কোটি ৪১ লাখ ভোটারের ভোটাধিকার দস্যুবৃত্তির দ্বারা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন জবরদখলকারী দস্যুরাই দেশ শাসন করছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ তাদের ক্ষমতা ফিরে পাবে না।
তিনি আরো বলেন, নিশিরাতে ভোট ডাকাতি পর এখন বন্দুকের নলের মুখে জনগণের জানমাল জিম্মি করে ক্ষমতায় বসে যা ইচ্ছা তাই করছে এই অবৈধ সরকার। কোনো দায়বদ্ধতা না থাকায় একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তারা। শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের গায়ের ঘাম ঝরানো অর্থ লুণ্ঠনের জন্য গ্যাসের দাম বাড়িয়ে নাভিঃশ্বাস পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। দুর্নীতি ও লুটপাটের উত্থান এই সরকারের প্রধান উন্নয়ন।
তিনি বলেন, গোটা দেশের মানুষ যখন গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিস্ফোরোন্মুখ হয়ে আছে তখন এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের সঙ্গে রীতিমত রসিকতা করছেন। উনার ভাবখানা এরকম যে, গ্যাসের দাম বাড়লেই বা কি বা ভ্যাটের পরিমাণ বা ইনকাম ট্যাক্সের পরিমাণ বাড়লেই বা কি! আমরা তো জনগণের ভোটে ক্ষমতার মসনদে বসি নাই! ভোট ডাকাতিতে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের পকেট ভারি করতে সব কিছু করবো।
রিজভী আরো বলেন, সবাই জানে, গ্যাসে এই মুহূর্তে কোনো ভর্তুকি নেই। এই গ্যাসের মূল্য এলএনজি আমদানি করে তার ভর্তুকি দেওয়ার জন্য বাড়ানো হয়েছে। সরকারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত মন্ত্রী, উপদেষ্টা এবং তাদের অত্যন্ত প্রিয়ভাজন এলএনজি আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের বাড়তি খরচ মেটাতে জনগণের ঘাড়ে গ্যাসের দাম চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলএনজি ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে সাধারণ ভোক্তাদেরকে কেন বাড়তি দাম দিতে হবে?
সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান ও নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।