ডা. শাহরিয়ার আহমেদঃ বিগত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) গুলোতে ক্রিকেটীয় পারফরম্যান্সের বিবেচনায় বিদেশী ক্রিকেটাররা বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিল, কিন্তু এবারের চলমান বিপিএল এর প্রেক্ষাপট সম্পুর্ণ ভিন্ন। এবারের বিপিএলে দেশি ক্রিকেটাররা বিদেশিদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। যদিও পিএসএল এর কারণে অধিকাংশ শীর্ষ বিদেশি ক্রিকেটার এবারের বিপিএল অংশগ্রহণ করতে পারেনি তাও যারা এসেছেন তারা খুব একটা খারাপ ও নয়।
দেশি পেস বোলারদের পারফরমেন্সের কথা যদি বলা হয় তাহলে নিঃসন্দেহে একটি নাম সবার মাথায় আসবে। আর সে নামটি হলো সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার ছেলে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। বিপিএল শুরুর আগে কারো মৃত্যুঞ্জয় কে নিয়ে কোন মাথাব্যাথাই ছিলনা। তাকে নিয়ে প্রত্যাশা তো দূরের কথা বিপিএলে কে তিনি খেলছেন কিনা এটাও অনেকে জানতেন না। এমনকি প্রথম তিন ম্যাচ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সাইড বেঞ্চে বসে থাকতে হয় মৃত্যুঞ্জয় কে। তবে অভিষেকেই বাজিমাত করেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী পেস বোলার।
বিপিএল এর আগে একাডেমি মাঠ থেকে অনুশীলন শেষে ফেরার পথে এক সাংবাদিককে একটি ছোট ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন, বলেছিলেন সুযোগ পেলে নিজের সেরা পারফর্মেন্স টা দিবেন। নিজের প্রথম সুযোগেই কথাটা রাখলেন মৃত্যুঞ্জয়। সিলেটের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে বিপিএল অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করার রেকর্ডে নাম লেখান পেস বোলার। পরবর্তী ম্যাচে পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো না হলেও সাকিবের ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে আবার জ্বলে উঠেন এ পেস বোলার। এবার হ্যাটট্রিক না পেলেও স্বীকার করেন চার চারটি উইকেট। তার অন্য অনূর্ধ্ব ১৯ দলের সতীর্থরা যখন জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন তখন তিনি ইনজুরিতে জর্জরিত ছিলেন। কিন্তু যার নাম মৃত্যুঞ্জয় সে কি এত সহজে হাল ছেড়ে দিবে। শত বাধা পার করে আজ এই সফলতা পেয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়। এ ধরনের আকস্মিক পারফরম্যান্স দেখানোর পর মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি বিসিবির এক ধরনের বাড়তি মনোযোগ দেওয়া উচিত। ভক্ত কিংবা সমর্থক নিশ্চয়ই কেউ চাইবে না যে ইনজুরি কিংবা অন্য কোন কারণে অসময় কোন নক্ষত্রের পতন হোক।