আজ ২২শে জুলাই সোমবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারক আস শামস জগলুল হোসেনের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
তাকে আইনগত সহায়তা করেছেন অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায়। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সঞ্চয় কুমার দে দুর্জয়।
সুমন কুমার রায় বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার জন্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ফেসবুকে লিখেছেন- ‘পৃথিবীর মধ্যে নিকৃষ্ট ও বর্বর জাতি হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী, যাদের ধর্মের কোনো ভিত্তি নেই। মনগড়া বানানো ধর্ম। হয়তো দু-একটি খবর নিউজে প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া আরও আনেক ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়, তাদের নৃশংসতার আড়ালে।’
তবে ফেসবুক প্রোফাইলটি ফেক হিসেবে আগেই জানিয়েছিলেন ব্যারিস্টার সুমন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ১৯ এপ্রিল সনাতন ধর্ম ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে মিথ্যা, অশ্লীল চরম আপত্তিকর মন্তব্য করেন। ফলে হিন্দু সমাজ তথা গোটা জাতির মধ্যে এ বিষয় নিয়ে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আসামির এ রকম আচরণ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অশ্লীল অবমাননাকর ও অরুচিপূর্ণ বক্তব্যের ফলে রাষ্ট্র ও হিন্দু সমাজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।
আসামির এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য প্রধানের ফলে সাধারণ জনগণ নীতিভ্রষ্ট, অসৎ হতে ঔদ্ধত্য হওয়ায় ফলে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
কিন্তু এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার সুমন আগে থেকেই বলে আসছেন তার নামে চালানো ওই ফেসবুক আইডিটি ভুয়া। তিনি গত ২০ জুলাই তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে লেখেন, ‘আমার নাম ব্যবহার করে একটি ফেক পেজ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। আমি এ বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। আপনারা সচেতন থাকবেন। এটিই আমার একমাত্র পেজ যার ফলোয়ার ২০ লাখের অধিক।’