চেঙ্গিস খানের কবর।পৃথিবীর ১২ রহস্যের মধ্যে একটি

0
0
সমাজের কন্ঠ ডেস্ক – চেঙ্গিস খানের কবর।পৃথিবীর ১২ রহস্যের মধ্যে একটি। ১২২৭ সালে মারা যান চেঙ্গিস খান। মৃত্যুর পর আরেক উপাখ্যান শুরু হয়। শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁর সমাধি হয় মঙ্গোলিয়ার কোনো এক অজ্ঞাত স্থানে।

ঘোড়ায় চড়ে বিশ্ব জয় করেছিলেন ভয়ংকর যোদ্ধা চেঙ্গিস খান। মঙ্গোলীয় সাম্রাজ্যের এই প্রতিষ্ঠাতার ইতিহাস অপহরণ, রক্তপাত, ভালোবাসা ও প্রতিশোধে পরিপূর্ণ।

চেঙ্গিস খান ত্রয়োদশ শতাব্দীতে বিশ্বের প্রায় এক-চতুর্থাংশ জায়গা দখল করে নিয়েছিলেন। সাম্রাজ্য বাড়াতে গিয়ে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সাম্রাজ্য প্রায় দেড় শতক টিকে ছিল।

চেঙ্গিস খানের কবর নিয়ে হাজার বছর ধরে গবেষণা করে আসছে বিজ্ঞানীরা। সেই সাথে মানুষের মনে রয়েছে কৌতুহল।

বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে চায়না অথবা মঙ্গোলিয়াতে তার কবর আছে বলে সন্দেহ করা হলেও এর সত্যতা আজও পাওয়া যায়নি।

বলা হয় চেঙ্গিস খানের সমাধির সব চিহ্ন মুছে দিয়েছে সেনারা। এ জন্য তারা সমাধির ওপর দিয়ে এক হাজার ঘোড়া চালিয়ে দেয়।

ঐতিহাসিকদের বর্ণনার ওপর ভিত্তি করে বিশেষজ্ঞরা চেঙ্গিস খানের সমাধি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। মজার বিষয় হলো, চেঙ্গিস খানের সমাধি খোঁজার আগ্রহে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিদেশিদের যুক্ত থাকতে দেখা গেছে। মঙ্গোলিয়ানদের মধ্যে চেঙ্গিস খানের সমাধি খোঁজার আগ্রহ দেখা যায়নি। তাঁর সমাধি খুঁজতে চায় না মঙ্গোলিয়ানরা।

চেঙ্গিস খানের সমাধি খোঁজার ক্ষেত্রে মঙ্গোলিয়ানদের অনাগ্রহের কারণে কারও কাছে মনে হতে পারে, এই বীর যোদ্ধা বুঝি তাঁর নিজ ভূমে গুরুত্বহীন। বিষয়টা আসলে তেমন নয়, বরং উল্টোই। এই যেমন মঙ্গোলিয়ার মুদ্রায় পর্যন্ত তাঁর মুখচ্ছবি আছে। ভোদকায়ও মেলে চেঙ্গিস খান। মঙ্গোলিয়ায় তাঁর জনপ্রিয়তা বিপুল।

মঙ্গোলিয়ানদের অনাগ্রহের বিষয়টিকে বিদেশি গণমাধ্যম ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে। তারা একে একটি ‘অভিশাপ’ হিসেবে বর্ণনা করে। তারা বলে, অভিশাপের ভয়ে মঙ্গোলিয়ানরা চেঙ্গিস খানের সমাধি খোঁজে না। এমন বিশ্বাসের কথাও বলা হয় যে, চেঙ্গিস খানের সমাধি আবিষ্কৃত হলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। আর এই ভয় থেকেই মঙ্গোলিয়ানরা তাঁর সমাধি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে না।

রাশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ডিগ্রি নেওয়া এক তরুণ মঙ্গোলিয়ান এই রহস্যের ব্যাখ্যা দিলেন। তাঁর ভাষ্য, চেঙ্গিস খানের সমাধি না খোঁজের পেছনে মঙ্গোলিয়ানদের মধ্যে কোনো কুসংস্কার নেই। আছে শ্রদ্ধার বিষয়টি। চেঙ্গিস খানই চেয়েছিলেন, তাঁর সমাধি অজ্ঞাত থাকুক। তাঁর এই ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই মঙ্গোলিয়ানরা সমাধি খুঁজতে যায় না। এখন এটা খুঁজতে গেলে তাঁকে অসম্মান করা হবে বলে তারা মনে করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here