দৈনিক সমাজের কন্ঠ

শিশুটিকে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দি করে মাচায় রাখেন দাদি!

পুলিশ জানায়, রাইসার পিতা রাজু খান তিন বছর আগে ইরাক যাওয়ার সময় চাচা আরমান খানের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নেন। কিন্তু রাজু সেই টাকা পরিশোধ করেননি। সেই ক্ষোভে সোমবার বিকেলে আরমান খান ও তার স্ত্রী সুমা খান রাইসাকে অপহরণ করে বাড়িতে আটকে রাখে। রাইসা চিৎকার করলে সুমা খান রাইসার মুখ চেপে ধরেন। একপর্যায়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর লাশ বস্তায় ভরে লাকড়ির মাচায় তুলে রাখেন। পরে রাতে পুলিশ ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় রাইসার মা লিপা আক্তার বাদী হয়ে মামলা করলে আরমান ও তার স্ত্রী সুমা খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকারের আদালতে রাইসাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন সুমা খান। তবে সুমা খানের স্বামী আরমান খান হত্যার কথা অস্বীকার করেছেন। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, পাওনা টাকা আদায় করতে রাইসাকে অপহরণ করে হত্যা করার কথা স্বীকার করে সুমা খান আদালতে জবানবন্দি দিয়ে