ডা. শাহরিয়ার আহমেদ। বাশখালিতে বেতন ও ইফতারীর ছুটি চাওয়ায় হত্যা করা হলো ৫ শ্রমিক, মারও খেলো সেই সকল শ্রমিক, মামলাও হলো ওই দরিদ্র শ্রমিকদের নামে আর সরকারী কর্তারা হয়ে গেলেন ধোয়া তুলশীপাতা।
আজ রবিবার ১৮ই এপ্রিল বাঁশখালী থানার ওসি শফিউল কবির মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল রাতে উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদ বাদী হয়ে আড়াই হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ছাড়া, যানবাহনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে শিল্প গ্রুপ এস আলমের মালিকানায় নির্মাণাধীন এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান সমন্বয়ক ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় এক হাজার ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।’
এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। গণ্ডামারার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আবারও হয়রানি ও হামলার ভয়ে গতকাল সন্ধ্যায় শ্রমিকদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
গতকাল সকাল ১১টার দিকে বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সে সময় পুলিশের গুলিতে পাঁচ শ্রমিক নিহত হন।
চীনা প্রতিষ্ঠান সেফকো থ্রি পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের অর্থায়নে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারায় এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট নামে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে শিল্প গ্রুপ এস আলম