শাহজালাল আকাশ – যশোর চৌগাছায় এক পরকীয়ায় তিন জনের আত্মহত্যার চেষ্টা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলায়। খোজ নিয়ে জানা যায়, একই পরকিয়ার জেরে স্বামী-স্ত্রী ও আরেক নারী কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ওই তিনজনকে উদ্ধার করে চৌগাছা ৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা এখন শঙ্কামুক্ত। কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিন সন্তানের বাবা আবদুর রশিদ (৪০), তার স্ত্রী (২৮) ও আবদুর রশিদের মালয়েশিয়া প্রবাসী শ্যালকের স্ত্রী (৩০)। চৌগাছা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তিনজনের স্বজনরা জানান, আবদুর রশিদ প্রেম করে তার চাচাতো বোনকে বিয়ে করেন। তিনি কিছুদিন প্রবাসে ছিলেন। এই দম্পতির তিনজন সন্তান রয়েছে। এরপরও মালেশিয়া প্রবাসী আপন শ্যালক ও চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান আবদুর রশিদ। বিষয়টি জানাজানি হলে রশিদের স্ত্রী একবার হাইপ্রেসারের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হন। তখন আবদুর রশিদ প্রতিজ্ঞা করেন, ‘আর এমন করবেন না।’ কিছুদিন পর থেকে তারা আবার গোপনে সম্পর্ক রেখে আসছিলেন। গতকাল পয়লা বৈশাখে আবার প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে রশিদের পরকীয়া সম্পর্ক ধরা পড়ে। বিষয়টি নিয়ে রশিদের সঙ্গে ঝগড়ার একপর্যায়ে কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তার স্ত্রী। পরে রশিদও কীটনাশক পান করেন। স্থানীয়রা তাদের দুজনকে উদ্ধার করে চৌগাছা ৫০ শয্যা হাপাতালে নেয়। এ ঘটনায় গ্রামবাসী তিরস্কার শুরু করলে প্রবাসীর স্ত্রীও কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাকেও উদ্ধার করে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা তিনজনই এখন সেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী কেন কীটনাশক পান করেছেন, এটা জানতে চাইলে তার মা বলেন, ‘রশিদের স্ত্রী-কন্যা মারপিট করেছে বলে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।’তবে পরকীয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি। কীটনাশক পানের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুর রশিদ জানান, পারিবারিক কলহের কারণে তিনি এ কাজ করেছেন। পরকীয়ার বিষয়ে রশিদ কোনো জবাব না দিয়ে বলেন, ‘সুস্থ হয়ে এর একটা বিহিত করব।’ আবদুর রশিদের স্ত্রী বলেন, ‘আমার মেয়েরা বড় হয়েছে। তাদের বিয়ে দিতে হবে। বারবার বলা সত্ত্বেও আমার স্বামী পরকীয়ার পথ থেকে সরে না আসায় হতাশা থেকে আত্মহত্যার চেষ্টা করি।’ চৌগাছা ৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুঞ্জুরুল হাসান বলেন, ‘চিকিৎসাধীন তিনজনই এখন শঙ্কামুক্ত।’