ইমরান হোসেন সাকিব (নওয়াপাড়া প্রতিনিধি): অভয়নগরে চলছে কঠোর বিধি-নিষেধ। গত ৭ দিনে শনাক্ত ৭৯জন। করোনা ইউনিটে শয্যা ২০, রোগী ভর্তি ২২ জন, প্রতিদিনই প্রতিবেশী দেশ ভারতে মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড করছে। প্রতিবেশী দেশে করোনার পরিস্তিতি বাংলাদেশেও প্রভাব ফেলছে। দেশের অন্যতম স্থলবন্দর যশোর জেলার আওতাধীন হওয়ার কারনে যশোর জেলা জুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।করোনায় আক্রান্তরা প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসা নিচ্ছে। এদিকে অভয়নগর জুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছে অনেকে। এ কারনে হাসপাতালের করোনা ইউনিটের শয্যা সংখ্যায় সংকট দেখা দিয়েছে।হাসাপাতালসূত্রে জানা যায়, ০৫ জুন ২০২১ তারিখে থেকে গতকাল ১১ জুন ২০২১ তারিখ পর্যন্ত ৭দিনে অভয়নগর উপজেলায় ৭৯জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটে ২২জন করোনা রোগী আইসোলেশনে রয়েছে। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটে মোট শয্যা রয়েছে ২০টি। বর্তমানে করোনা ইউনিটের ২০টি শয্যা অতিক্রম করার পরে অতিরিক্ত ২জন চিকিৎসা নিচ্ছে। এর কারনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে।অভয়নগরে ৫ জুন ৭জন, ৬ ৬জন, ৭ জুন ১১জন, ৮ জুন ১৭জন, ৯ জুনে ৯জন, ১০ জুনে ১৫জন এবং ১১ জুন ১৪জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও নওয়াপাড়া পৌরসভা এলাকা জুড়ে অসংখ্য মানুষ করোনার উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে এবং তারা করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য ভয় পাচ্ছে। দিনদিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, আবার হাসপাতালের করোনা ইউনিটের শয্যা সংখ্যায় সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে হাসপাতালের করোনা ইউনিটের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে।এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে অভয়নগর উপজেলা প্রশাসন সর্বদা মাঠে রয়েছে। বৃদ্ধি করা হয়েছে প্রশাসনিক তৎপরতা। পৌর এলাকাজুড়ে মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করা, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানসহ কঠোর বিধিনিষেধের নিদের্শনাগুলো বাস্তবায়নে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।