সমাজের কন্ঠ ডেস্ক – কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ও দুই ইন্টার্ন চিকিৎসকের ওপর হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সহ-সভাপতি ডা. তাহমিদ আশরাফ জানিয়েছেন, কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার সকালে হাসপাতালের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। পরে সেখান থেকে একটি র্যালি শহীদ মিনার পর্যন্ত যায়। সেখানে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেন ইন্টার্ন চিকিৎসক নেতারা।
এ সময় তারা জানান, ঘটনার প্রতিবাদে আগামী রোববার জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করবেন তারা। এদিকে, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসতে পারেনি ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। স্থানীয় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) নেতারা এ বিষয়ে অবহিত কিনা, জানতে চাইলে ডা. তাহমিদ আশরাফ জানান, ‘গতকাল সন্ধ্যায় একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিধান পালসহ বিভিন্ন ডিপিার্টমেন্টের সিনিয়র শিক্ষকরা ছিলেন। এছাড়া জেলা বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহবুবুর রহমান এবং কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মতিন সেখানে অংশ নেন। তবে এতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’ এর আগে বিকেলে এক বৈঠকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিধান পালের কাছে তাদের দাবি-দাওয়া লিখিত আকারে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের এ নেতা।
সূত্র জানায়, একিউট প্যানক্রিয়াটাইটিসে আক্রান্ত একজন রোগী হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। রোগীর স্বজনদের বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি চিকিৎসা সেবাও আন্তরিকভাবে প্রদান করা হচ্ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার তিনি মারা গেলে রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করেন, ইনজেকশন দিয়ে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। এরপর বিকাল ৩টার দিকে হাসপাতালে এসে চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালায় তারা। এ সময় তারা ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. রাসেল আল মাহমুদ, ডা. জ্যাকসন ত্রিপুরাকে মারধর করে। তাদের হামলায় আহত হন সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. ফাহিম মো. তাজনুন। এছাড়া ওয়ার্ড বয়, নার্সদের ওপরও হামলা চালায় তারা। এ সময় হামলাকারীরা ফ্রিজ, টেবিল ও চেয়ার ভাঙচুরের পাশাপাশি রোগীদের ফাইলপত্র ছিড়ে ফেলে।
এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি এবং হাসপাতালে নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা দেয় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
সুত্র – মেডিভয়েস
