দৈনিক সমাজের কন্ঠ

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’- ৪নং সংকেত

মোহাম্মাদ রায়হান (ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি) – প্রলয়ংকরী রূপ ধারণ করে ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের আয়তনের চেয়েও বড় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের ফলে ফণী প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে। ৩২০ ডিগ্রি কৌনিকভাবে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার বেগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা অব্দি উত্তর পশ্চিমে ভারতের বিশাখাপট্টমের দিকে ধাবিত হচ্ছিল। বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় ফণীর অবস্থান ছিল- মোংলা সমুদ্র বন্দর হতে ১০৯৫ কিলোমিটার, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১,২৩৫ কিলোমিটার এবং কক্সবাজার থেকে ১,১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপ-সাগরে অবস্থানরত ফণী সুপার সাইক্লোনে রূপ পরিগ্রহ করতে পারে। বর্তমান গতিপথে থাকলে আগামী ৩ মে বিকালে ভারতের উরিষ্যা রাজ্যের পুরী হতে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলভাগে আঘাত হানতে পারে। আর গতিমুখ বদল হলে শনিবার (৪ মে) দিবাগত ভোর রাত থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমগ্র বাংলাদেশ উপকূলে ভয়ংকর রূদ্র মুর্তিতে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। logo বেটা ভার্সন বুধবার, ০১ মে ২০১৯, ১৮ বৈশাখ ১৪২৫ শিরোনাম ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ নুসরাত হত্যা: এডিসি ও এসপি-ওসির গাফিলতি, শাস্তির সুপারিশ মে দিবসে উত্তরায় বাসার ছাদ থেকে ২ গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছাড়ল টাইগাররা টটেনহ্যামকে হারিয়ে ফাইনালে চোখ আয়াক্সের হোম জাতীয় সুপার সাইক্লোনে রূপ নিচ্ছে ‘ফণী, বন্দরগুলোতে ৪ নম্বর সংকেত আনোয়ার আলদীন ১৩:৩৪, ০১ মে, ২০১৯ সুপার সাইক্লোনে রূপ নিচ্ছে ‘ফণী, বন্দরগুলোতে ৪ নম্বর সংকেত প্রতীকী ছবি। প্রলয়ংকরী রূপ ধারণ করে ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের আয়তনের চেয়েও বড় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের ফলে ফণী প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে। ৩২০ ডিগ্রি কৌনিকভাবে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার বেগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা অব্দি উত্তর পশ্চিমে ভারতের বিশাখাপট্টমের দিকে ধাবিত হচ্ছিল। বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় ফণীর অবস্থান ছিল- মোংলা সমুদ্র বন্দর হতে ১০৯৫ কিলোমিটার, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১,২৩৫ কিলোমিটার এবং কক্সবাজার থেকে ১,১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপ-সাগরে অবস্থানরত ফণী সুপার সাইক্লোনে রূপ পরিগ্রহ করতে পারে। বর্তমান গতিপথে থাকলে আগামী ৩ মে বিকালে ভারতের উরিষ্যা রাজ্যের পুরী হতে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলভাগে আঘাত হানতে পারে। আর গতিমুখ বদল হলে শনিবার (৪ মে) দিবাগত ভোর রাত থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমগ্র বাংলাদেশ উপকূলে ভয়ংকর রূদ্র মুর্তিতে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। আরো পড়ুন : মে দিবসে উত্তরায় বাসার ছাদ থেকে ২ গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার ক্রান্তীয় সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় অবস্থান স্থলের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬৮ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। সাইক্লোনটি যদি উড়িষ্যার উপকূলে আঘাত হানে তবে তার প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম, খুলনা বিভাগসহ পুরো উপকূলীয় এলাকায় প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়ার সাথে তুমুল বৃষ্টিপাত হবে। আবহাওয়া দফতরের একজন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের দিকে আসার সম্ভাবনা এখনো শতকরা ৬০ ভাগ। ফণীর কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়টির ‘ফণী’ নামকরণ করেছে বাংলাদেশ।