দৈনিক সমাজের কন্ঠ

চিকিৎসক সংকটে খুড়িয়ে চলছে ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।রোগীদের ভোগান্তি

আজিজুল হক নাজমুল – কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নাই পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় বাড়ছে রোগীদের দুর্ভোগ ও রোগীদের প্রতি বাড়ছে নার্সদের অবহেলা” সরেজমিনে আমাদের প্রতিবেদক ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেয়ে দেখতে পারেন হাসপাতালটিতে চিকিৎসকদের পদ থাকলেও তেমন চিকিৎসক নাই। একজন ভু্ক্তভোগী দাশিয়ারছড়ার কামালপুরের শরিফা বেগম(২৮) জানান, তার শিশু বাচ্চার (বয়স ৯ মাস) ডায়রিয়া সহ বমি হলে গত ১২-৪-২০১৯ এ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার, সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। শিশুটিকে খাবার স্যালাইন সহ পুশ করার স্যালাইন দেয়া হয়। ১৩-৪-২০১৯ সকাল বেলা শিশুকে পুশ করা ক্যানুলাটিতে সমস্যা দেখা দেয় এবং শিশুটি অনেকক্ষণ কাঁদতে থাকে। বারবার নার্সদের ডিউটি রুমে পাড়ি জমালেও নার্সরা সমস্যাটি সমাধান করেননি এবং বেলা ১১ টা নাগাদ ক্যানুলাটি খুলে দেয়। পরবর্তীতে ১১ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত শরীফা বেগম ৩০-৪০ বার শিশুটির নতুন ক্যানুলা পড়ানোর জন্য নার্সের ডিউটি রুমে যান কিন্তু নার্সরা ক্যানুলা তো দূরের কথা উল্টা কথা শুনিয়ে রাখে। পরবর্তীতে শরিফা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি চলে আসেন। স্বপ্নসিঁড়ি সমাজ কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে ১৩-৪-২০১৯ এ রাত ৯ টা নাগাদ ফুলবাড়ি হাসপাতাল পরিদর্শন কালে আশেপাশের রোগী এবং রোগীর আত্মীয় স্বজন রা এ ধরনের অভিযোগ তোলে। শরিফা বেগমের বাড়িতে রাত ১১ টা নাগাদ ডাক্তার নিয়ে হাজির হয় স্বপ্নসিঁড়ি এর দাশিয়ার ছড়া টিমের রুবেল। ১৪-৪-২০১৯ এ স্বপ্নসিঁড়ির একটি প্রতিনিধি শিশুটিকে ফুলবাড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখন শিশুটি একটু সুস্থ। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সবার ই দাবি উঠেছে ফুলবাড়ি হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধি করা নিয়ে। উল্লেখ্য গত ১৫ দিন যাবত ফুলবাড়ি হাসপাতালে কোন THO (হাসপাতাল প্রধান) নেই। বর্তমান কর্তব্যরত এমবিবিএস ৩ জন থাকলেও নিয়মিতভাবে কেউই থাকেন না। বেশীরভাগ সময় “ইমারজেন্সী” রুম থাকে ডাক্তারবিহীন। ফুলবাড়ি বাসীর দাবি হাসপাতাল এ গিয়ে কোনরকম হয়রানি ছাড়া সাধারণ মানুষ যেন সুষ্ঠু মত চিকিৎসা সেবা পায়।