রাশিদুজ্জামান সরদার ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধি:
খুলনা জেলায় ডুমুরিয়া উপজেলায় এবার ইরি ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় চাষিদের পরিবারে বইছে খুশির জোয়ার। ইতোমধ্যে বেশ কিছু এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। মে মাসের মধ্যে ধান কাটা শেষ হবে। তবে সময়মতো রোদ-বৃষ্টি থাকায় খর্নিয়া ইউনিয়নের বিল শিংগায় অনেক অনাবাদি জমিতে আবাদ হওয়ায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
ফলন ভালো হওয়ায় আনন্দে রয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সংশ্লিষ্টরা।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ২০০ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৬শত ৬০ টন।
ডুমুরিয়া উপজেলার টিপনা গ্রামের কৃষক আজাদ শেখ, আব্দুল গনি বলেন, এবার ৮একর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারে ন্যায্যমূল্য পেলে ধানের ভর্তুকি দিতে হবে না।
একই উপজেলার খর্নিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন, পাচপোতা গ্রামের সামছুল রহমান, জিল্লুর রহমান, রহিমা সহ অনেকেই বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ইরি বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আশা করি সঠিক বাজার মূল্য পেলে লাভবান হবেন।
উপজেলার মিজাপুর গ্রামের গোপাল চন্দ্র বলেন, ৪ বিঘা জমিতে আমার ধানের আবাদ হয়েছে। কৃষাণ সংকট থাকায় ধান কাটতে বিলম্ব হচ্ছে।
একই এলাকার কৃষক জামাল খান ও ছগির খান জানান, কিছুটা ইঁদুরের উপদ্রব রয়েছে। যদি ইঁদুরের উপদ্রব না থাকতো তাহলে ধানের ফলন আরও ভালো হতো। ৯/১০ বিঘা জমি চাষ করে ৯০/৯৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। উৎপাদন খরচ বাদেও চাষাবাদে লাভ হবে।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন জানান, এ পর্যন্ত উপজেলায় ২:/: শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটতে সময় লাগছে। আমরাও ধান কাটার মেশিন দিয়ে সহযোগিতা করছি।
ধানের উৎপাদন নিয়ে তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের সুষ্ঠু তদারকি এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সময়মতো রোদ বৃষ্টি হওয়াতে এবার ইরি ফসলে পোকার আক্রমণ এবং রোগবালাইয়ের প্রকোপ ছিল না। ফলে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় সার্বিকভাবে চলতি বছরে ধানের ফলন ভালো হয়েছে।