রাশিদুজ্জামান সরদার, ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধিঃ
ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। চেয়ারম্যানদের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন খুলনা জেলা প্রশাসক এবং সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এছাড়া ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে ডুমুরিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের অবমূল্যায়ন করার প্রতিবাদে সাংবাদিকরা প্রতিবাদ সভায় এর নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন।
গত ১১ নভেম্বর ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জয়ী চেয়ারম্যান ও সাধারণ সদস্য এবং সংরক্ষিত সদস্যদের শপথ গ্রহণের জন্য আজ (২৯ শে ডিসেম্বর) বুধবার বেলা ১১টায় সময় নির্ধারন করে দেয়া হয়। চেয়ারম্যানদের শপথ বাক্য পাঠি করান খুলনা জেলা প্রশাসক মো: মনিরুজ্জামান তালুকদার। সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ।
এদিকে ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসনের নবনির্মিত ভবনটি উদ্বোধন ও সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানটি সাংবাদিকদেরকে উপেক্ষা করা হয়। শপথ অনুষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিকরা গিয়ে অবমূল্যায়িত হন। এতে তাৎক্ষনিক এক সিদ্ধান্তে অনুষ্ঠন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ডুমুরিয়া প্রেসক্লাব ভবনে এক প্রতিবাদ সভা কাজী আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সাংবাদিক জি এম আব্দুস ছালামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় প্রশাসনের এমন আচরন এবং অব্যাহতভাবে সংবাদিকদের অবমূল্যায়ন করার প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন, এম এ এরশাদ, শেখ মাহাতাপ হোসেন, শেখ সিরাজুল ইসলাম, শেখ হেদায়েতুল্লাহ, মাহবুবুর রহমান, এস রফিকুল ইসলাম, জাহিদুর রহমান বিপ্লব, উদয় চক্রবর্তি, সুজিৎ মল্লিক, সাব্বির খান ডালিম, শেখ ইলিয়াস হোসেন, সুব্রত ফৌজদার, মোক্তার হোসেন, সুমন ব্রম্ম্য, জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, আশরাফুল আলম প্রমূখ।
সভায় সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করে বলেন, ডুমুরিয়ায় সাংবাদিকরা বর্তমানে চরমভাবে অবমূল্যায়িত। তার এক উদাহরন আজকের জনগুরুত্বপূর্ন এই দুটি অনুষ্ঠান। আগামী ৫ বছরের জন্য যারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তাদের সেই শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত না হয়েও অনেকে সেখানে গিয়ে বসা বা দাড়ানোর মত কোন ব্যবস্থা করে দেয়া হয়নি। তাছাড়া সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বহুতল বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন উদ্বোধনেও তাদেরকে ডাকা হয়নি। কেই কেউ হাজির হরেও সেখানে একই অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে নির্বাচিত ১৬৮ জন সদস্যের বসতে দেয়ার মত আসনেরই সঙ্কট ছিল। সেজন্য ইচ্ছা থাকার পরও ব্যবস্থা করা যায়নি। তিনি বলেন, ভবন উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে অতিথি আমন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল উপজেলা প্রকৌশলীর।