গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপি নামক রাজনৈতিক বিষবৃক্ষকে উপড়ে ফেলতে হবে –  ইনু

0
1

সমাজের কণ্ঠ  ডেক্স – জুন ২১, ২০১৯ – জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে সামরিক শাসনের হাত ধরে গায়ের জোরে স্বাধীনতাযুদ্ধের পরাজিত অগণতান্ত্রিক শক্তিকে রাজনীতিতে নিয়ে এসে পুনর্বাসনের মাধ্যমে রাজনীতির বিরোধী পক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে। একদিকে মুক্তিযুদ্ধ গণতন্ত্র, সমাজতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তি; তার বিপক্ষ হচ্ছে জঙ্গিবাদী জামায়াতি যুদ্ধাপরাধী চক্র, যার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। সেজন্যই বলি, বিএনপি রাজনীতির বিষবৃক্ষ। সুতরাং যতই ডালপালা ছাঁটেন, রাজনীতির বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলতে না পারলে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গিবাদের পুনরুৎপাদন হতেই থাকবে। সম্প্রতি কালের কণ্ঠকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, রাজনীতিতে বিরোধীদল ও বহু দল লালন করার নামে সাম্প্রদায়িকতাকে হালাল সার্টিফিকেট দেয়া হলো। ফলে একবার রাজাকার সমর্থিত সরকার, আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় বসতে লাগল। বলা হচ্ছে, গণতন্ত্রে শক্তিশালী বিরোধী দল রাখতে হবে। বিএনপিকে জামাই আদর করে সংসদে নিয়ে এসে বসাতে হবে। বিএনপির রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে হবে। কিন্তু যত দিন এই বিএনপি রাজনীতির অঙ্গনে থাকবে এবং সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী জামায়াতিরা থাকবে, তত দিন বাংলাদেশ নিরাপদ নয়। গণতন্ত্র নিরাপদ হবে না।তবে গত ১০ বছরে তাদের বিরুদ্ধে সরকার শূন্য সহিষ্ণুনীতি গ্রহণ করার ফলে তারা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন ইনু। তিনি বলেন, বিএনপি কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। নির্বাচনে ২০০৮ সালে তারা পরাজিত হয়েছে। ২০১৪ সালে বয়কট করে রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েছে। ২০১৮ সালে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হয়েছে। ২০১৮ সালের রাজনীতির পরে বিএনপির অপরাজনীতির যুগের অবসান হলো। যেমন করে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পরে মুসলিম লীগ যুগের অবসান হয়েছিল।আপনি মুসলিম লীগের মতো বিএনপির বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন। কিন্তু ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এখনো বিএনপিই ক্ষমতায় আসবে—দেশে এমন আলোচনাও আছে।এ কথার উত্তরে ইনু বলেন, আমি রাজনীতির গত ২০ বছরের পুরো পরিস্থিতিকে যুদ্ধের চশমা দিয়ে দেখছি। যুদ্ধের চশমা দিয়েই আমি ২০০৮ সালের ভোট, ২০১৪ সালের ভোট ও ২০১৮ সালের ভোটকে দেখছি। ২০১৮ সালের ভোটের দশ দিন আগে ড. কামাল হোসেনসহ উত্তর-দক্ষিণ মেরুর অনেকে যখন রাজাকারের কোলে এবং বিএনপির কোলে গিয়ে বসল এবং হুংকার ছাড়ল যে শেখ হাসিনা সরকার পালিয়ে যাবে, সেই পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিতে হবে। তারা নির্বাচন বয়কটের হুংকার ছাড়ল পরে পেরে না উঠে ভোটে অংশ নিয়েছে। কিন্তু আগের পরিস্থিতি ছিল খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। মহাজোটের সরকারকে উৎখাত করতে হবে। নইলে ভোট করবে না। তারা একটি উৎখাতের খেলায় নেমেছিল। ইনু বলেন, আসলে আমি এই সময়টিকে একটি বিশেষ পরিস্থিতি, যা আমার ভাষায় ‘রাজনৈতিক যুদ্ধের চশমা’ বলি। যে যুদ্ধের প্রতিপক্ষ হচ্ছে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী যুদ্ধাপরাধী চক্র এবং তার পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। আপনি রাজাকারকে বর্জন করবেন আর বিএনপিকে কোলে টেনে নেবেন, এই দ্বৈতনীতি বাংলাদেশে চলতে পারে না।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here