নাজিমুদ্দিন জনি – খুলনার দাকোপে ঘুর্ণিঝড় ‘ফনি‘র নামে নাম রাখায় ফনি‘কে পোশাক ও বাড়ি উপহার। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাতের দিন জন্ম হয়েছিল বলে ঝড়ের নামানুসারে শিশুটির নাম রাখা হয় ‘ফণী আক্তার’। বাবা-মা ও শিশুটির স্বজনরা এ নাম রাখেন। গত শুক্রবার (০৩ মে) খুলনার দাকোপ উপজেলা সদর চালনা পৌরসভার মাসুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নেওয়া রেশমী বেগমের কোলে আলোকিত করে আসে শিশুটি। দাকোপ উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার উপজেলার চালনা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মামার দোকানের কর্মচারী মৃত আবুল গাজীর ছেলে মাসুম গাজী ও তার গর্ভবর্তী স্ত্রী রেশমী বেগম সকালে স্থানীয় মাসুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম-সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নেয়। এদিন বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে রেশমীর প্রসব বেদনা উঠলে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরত অন্য স্থানীয় নারী ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ডা. সঞ্জীব দাশের সহযোগিতায় রেশমীর কোল জুড়ে আসে একটি ফুটফুটে শিশু। ঝড়ের নামানুসারে শিশুটির নাম রাখা হয় ‘ফণী আক্তার’ এমন ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও ঘূর্ণিঝড়ের সময় পৃথিবীতে আসা শিশুর নাম ঘূর্ণিঝড়ের নামের সঙ্গে মিলিয়ে রাখার ঘটনাও রয়েছে। ফণীর জন্মের ঘটনা জানতে পেরে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের নির্দেশে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল ওয়াদুদ সোমবার (০৬ মে) বিকালে শিশু ‘ফনি’ কে দেখতে যান। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে দেওয়া কিছু নগদ টাকা, নতুন পোশাক তুলে দেন এবং এক লাখ টাকা মূল্যের একটি ঘর তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. সঞ্জীব দাশ, চালনা পৌর মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসেন, স্থানীয় কাউন্সিলর আয়ুব আলী কাজী সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।