দৈনিক সমাজের কন্ঠ

ফরিদপুর মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উপর হামলার প্রতিবাদ লিপিঃ কি ঘটেছিল সেদিন?

ডাঃ নিলয় ষুভ – ১৭ এপ্রিল ২০১৮ তারিখের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের উপর নার্সদের ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সকল শিক্ষানবীশ চিকিৎসকবৃন্দ একটি প্রতিবাদলিপি প্রকাশ করেন। উক্ত প্রতিবাদ লিপিতে, প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করে যার প্রমান স্বরূপ সিসিটিভি’র ফুটেজ রয়েছে। নিম্মে প্রতিবাদ লিপির বক্তব্য উল্লেখ করা হল।

তারিখঃ ১৭.০৪.২০১৯ইং

প্রতিবাদ লিপি

ফমেক হাসপাতালের কর্তব্যরত শিক্ষানবীশ চিকিৎসকের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবীশ চিকিৎসকবৃন্দ হাসপাতাল প্রশাসনের সাথে গত ১৬.০৪.২০১৯ ইং তারিখ হতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদেশনায় জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ-২০১৯ পালন করে আসছে ।
অদ্য ১৭.০৪.২০১৯ইং তারিখ সকাল ৯.০০ ঘটিকায় হাসপাতালের একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কতিপয় নার্স
একজন দায়িত্বরত শিক্ষানবীশ চিকিৎসকের ওপর হামলা করে | এ ঘটনার সূত্রপাত হয় ১৬.০৪.২০১৯ইং তারিখ
সকালবেলা হাসপাতালের ৬ষ্ঠ তলায় | নববর্ষ উপলক্ষ্যে সাজানো ২-১ টি বেলুন ফাটানোর মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র
করে দায়িত্বরত এ চিকিৎসকের সাথে কয়েকজন নার্স দুর্ধবহার করে এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় ।

পরবর্তীতে ১৭.০৪.২০১৯ইং তারিখ সকাল ৯.০০ ঘটিকার সময় একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ চিকিৎসক
হাসপাতালের শান্তা,বিখী এবং কাকলীর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন নার্সের জেরার সম্মুখীন হন। একপাঁয়ে নার্সরা
অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করলে তিনি এই অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালের পরিচালককে জানানোর উদ্দেশ্যে
রওনা হলে পরিচালকের রুমের সামনেই বাধাগ্রস্থ হন । ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে ৩০-৪০ জন নার্স উক্ত চিকিৎসকের
ওপর জুতা খুলে মারধর শুরু করে । এমতাবস্থায় উক্ত চিকিৎসক আত্মরক্ষার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন এবং মারাত্মকভাবে আহত হন | পরবর্তীতে কয়েকজন শিক্ষানবীশ চিকিৎসক তাকে উদ্ধার করতে গেলে তারাও লাঞ্ছিত হন। এসকল
ঘটনা পরিচালক সহ হাসপাতাল প্রশাসনের সামনেই ঘটে । যার সব কিছু হাসপাতালের সিসিটিভি তে ধারণ করা
আছে । অতঃপর সকল শিক্ষানবীশ চিকিৎসকবৃন্দ সামগ্রিক ঘটনার প্রেক্ষিতে হাসপাতাল প্রশাসনের শরণাপন্ন
হয়েছে।

সিসিটিভি ফুটেজ এবং চাক্ষুষ প্রমাণ থাকা সন্ধেও দুই একটি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টালে সকল
শিক্ষানবীশ চিকিৎসকদের দায়ী করে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে । এতে জনমতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি
হয় ।যার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি ।

হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থায় ডাক্তার এবং নার্স উভয়ের সম্মিলিত ভূমিকা অনস্থীকার্য । কিন্তু কতিপয় নার্সদের
এ ধরণের অনাকাজ্িত আচরণ সমগ্র স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করে । উল্লেখ্য যে, উপরোল্লিথিত ঘটনা সব্ষেও
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা এক মুহুর্তের জন্যেও বন্ধ থাকেনি যা শিক্ষানবীশ
চিকিৎসকদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় বহন করে ।

এ ধরণের ন্যার্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের কঠোরতর শাস্তি দাবি করছি এবং সেই
সাথে অতিসন্বর উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি ।

পক্ষেঃ
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সকল শিক্ষানবীশ চিকিৎসকবৃন্দ ।