মোহাম্মাদ রায়হান (বিশেষ প্রতিনিধি) – অভিযানে ধ্বংস করা হলো ২০শতক জমির ৫৫৩টি গাঁজা গাছ বান্দরবানের লামা উপজেলায় ২০শতক জমিতে চাষ করা মোট ৫৫৩টি গাঁজা গাছ ধ্বংস করেছে স্থানীয় পুলিশ। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে উপজেলা সদর ইউনিয়নের দূর্গম রওজাঝিরি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব গাঁজা গাছ ধ্বংস করে পুলিশ। ওই জমিতে ধ্বংস করা গাঁজা গাছের ওজন প্রায় ৮৫ কেজি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১৭ লাখ টাকা। এ সময় গাঁজা গাছের বীজসহ খুরশিদা বেগম (৩৫) নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আমিনুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রওজার ঝিরিতে অভিযান চালায়। এ সময় কয়েক মাস আগে ইয়াহিয়া মিন্টুর রোপন করা গাঁজার ৩০৩টি পূর্ণ বয়স্ক ও ২৫০টি চারা গাছ ধ্বংস করে পুলিশ। তবে গাঁজা চাষি ইয়াহিয়া মিন্টুকে আটক করা যায়নি। তবে তার স্ত্রী খুরশিদার বেগমকে আটক করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানায়, গত বছর লামা পৌরসভা এলাকার হরিণ ঝিরি গ্রামের বাসিন্দা ইয়াহিয়া মিন্টু ছাগল খাইয়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুস ছালাম লেদুর কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকায় রওজাঝিরিস্থ ৬০শতক জমি লিজ নেন। সেখানকার ৪০ শতাংশ জমিতে সবজি চাষ করলেও এর পাশাপাশি আনুমানিক ২০শতক জমিতে গাঁজার চাষ করেন তিনি। প্রতিবেশিরা প্রথমে বুঝতে না পারলেও এক পর্যায়ে জা চাষের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের খবর দেন তারা। খবর পেয়েই অভিযানে নামে পুলিশ। ওই জমিতে গাঁজা চাষের বিষয়ে লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, ‘ইউনিয়নের রওজারঝিরিতে গাঁজা চাষের বিষয়টি কেউ কোনোদিন আমাদের জানায়নি’। এ বিষয়ে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত থাকার আভিযোগে খুরশিদা বেগমকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি মূল গাঁজাচাষি ইয়াহিয়া মিন্টুকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হবে’।