ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষনা দিলেন গোলাম রাব্বানী

0
1
ফাইল ছবি

সমাজের কন্ঠ ডেস্ক – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের সাথে বৈঠককালে উত্তেজনার এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেত্রী বিএম লিপি আক্তারকে মারধরের অভিযোগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে। তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে উচ্চবাচ্যের (হট টক) কথা বলে চালিয়ে দিয়েছেন তিনি। পরে আবার একই ঘটনার জেরে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে আন্দোলনকারীদের সরি বলেন রাব্বানী। এসময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিবেন বলেও জানান তিনি।

শনিবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে সাড়ে ৩টার দিকে এসব ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীরা জানান, টিএসসিতে আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনায় বসেন ছাত্রলীগের সভাপিত শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এসময় উচ্চবাচ্যের এক পর্যায়ে লিপির ওপর চড়াও হন গোলাম রাব্বানী। পূর্ব থেকেই বেফাঁস মন্তব্যের কারণে লিপির প্রতি ক্ষোভ ছিল রাব্বানীর। পরে দ্বিতীয় দফায় তাকে মারধর করেন তিনি। এ সময় তার সাথে থাকা নেতাকর্মীরা হামলে পরে আন্দোলনকারী তথা পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের ওপর।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলায় অন্তত ৬ জন আহত হন। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক নেতার ঘাড়ের হাড় ভেঙে যায়। হামলার সময় সাধারণ গোলাম রাব্বানী ও তার অনুসারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন সভাপিত রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।

হামলার শিকার হয়ে পরে রাজু ভাস্কর্যে অনশনে বসেন আন্দোলনকারীরা। শেষ খবর পাওয়া (সকাল ৯টা) পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করতেছিল।

ভুক্তভোগীরা জানান, যারা সেদিন মধুর কেন্টিনে হামলা করেছে টিএসসিতেও ফের হামলা করেছে তারা। জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেয়েদের একটি হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেখানে সাধারণ সম্পাদক আঙুল তোলেন সেখানে তার অনুসারী তো আরো উস্কানী পান। আর এখানে খোদ সাধারণ সম্পাদক মারধর করেছেন তাহলে তার অনুসারীরা কি করতে পারে বুঝে দেখেন।

এদিকে, হামলার ঘটনার পরে রাত তিনটার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে পদবঞ্চিতদের বুঝিয়ে অনশন থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তবে পদবঞ্চিতরা তাদের কথা গ্রাহ্য করেননি। সংগঠনের সর্বোচ্চ অভিভাবক শেখ হাসিনার সাথে কথা বলবেন বলেও জানান তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সরাসরি অভিযোগ দিতে চান তারা। এ সময় তারা শোভন রাব্বানীকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। এ সময় গোলাম রাব্বানী তাঁদের উদ্দেশে বলেন, আমি সরি। তোমরা চলে যাও। আমি কাল নেত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আসব।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, একটু ঝামেলা হয়েছে, তবে এখন কিছু বলতে চাচ্ছি না।

পরে গণমাধ্যমকে দেয়া বক্তব্যে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, কাউকে মারধর করা হয়নি। কথা বলতে গিয়ে ‘হট টক’ হয়েছিল।

আন্দোলনকারীদের এজেন্ডাধারী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বিশেষ সিন্ডিকেটের নির্দেশনা অনুযায়ী পদবঞ্চিতরা এসব করছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here