ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন সাংবাদিকতা; গোপালগঞ্জের শ্রদ্ধেয় অভিভাবকরা নীরব কেন?

0
2

এমনি প্রশ্ন রেখে সাংবাদিক জয় তাঁর ফেসবুক টাইম লাইনে দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:হুবুহু তাঁর ফেসবুক টাইম লাইন থেকে নেওয়া .. .. ..
রাত পোহালেই নতুনের আহবানে আগামীর সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হচ্ছে নতুন আরেকটি দিন । অতীতের সব বিভেদ ভুলে গোপালগঞ্জের সাংবাদিকরা কি ঐক্যবদ্ধ হবেন? রুখে দাড়াবেন কি অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে? এমন গুরুত্বপূর্ণ নানা প্রশ্ন আজ সাংবাদিকতার সুষ্ঠু বিকাশের আকাশে কালো মেঘের ছাপ ফেলেছে। নতুন দিনকে ঘিরে সেই মেঘ চিরতরে মুছে গিয়ে সমৃদ্ধি আর একতার আলো আসবে এমন আকাঙ্খা করছি আমরা।
আমরা অনেক হারিয়েছি, অনেক ক্ষতি করেছি নিজেদের। দয়া করে হিসেব-নিকেশ করে দেখবেন যা হারিয়েছেন, যা খুঁইয়েছেন তার হিসেব হাজারো চেষ্টা করেও মেলাতে পারবেন না। পেশাগত জীবনের শুরু থেকে আজ অবধি নেই পেশাগত বিভেদ; তাহলে বিভেদটা কিসের? আমরা কী জানি এ বিভেদের ফায়দা লুটছে কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তা-রাজনীতিক আর সামাজিক দূর্বীত্তরা। অপসাংবাদিকতার দৌরাত্ম্য রোধ হলে খুলবে পেশাদারিত্বের দ্বার।
অনেক কষ্ট নিয়ে বলতে হয়, পাঁচ উপজেলার সমন্বয়ের একটি সুন্দর আধুনিক মর্যদা সম্পন্ন স্বমহিমায় মহিমান্বিত গোপালগঞ্জ জেলা। জেলা থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে প্রশাসনিক, রাজনৈতিকসহ সকল কার্যক্রম। সব উপজেলাতে প্রেস ক্লাব ভবন ও গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কমিটি থাকলেও জেলায় নেই ঝলমলে প্রেসক্লাব ভবন আর সব উপজেলার সমন্বয়ে কোন নির্বাচিত কমিটি ।ভিবিন্ন মামলা জটের কারনে দূর্ঘদিন হয়না জেলার প্রেসক্লাবে কোন নির্বাচন।শুধু তাই নয় ছোট এ আদর্শ জেলায় আমরা নিজেদের স্বাথ্যের জন্য ব্যাঙ্গের ছাতার মতো নিজেদের ইচ্ছামতো গড়ে তুলেছি সাংবাদিক সংগঠন। নেই ঐক্যবধ্য কোন কার্যক্রম । এ লজ্জা রাখার জায়গা না থাকলেও এ ব্যর্থতার দায়ভার বর্তায় আমাদের কাঁধেই। এ অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে অন্তত: সিনিয়রদের একই ছাতার নীচে ঐক্যমতে আসতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।
বলতে দ্বিধা নেই ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা শহর থেকে প্রকাশিত কিছু অখ্যাত কাগজের পরিচয় পত্র নিয়ে অনেকেই বনে যাচ্ছেন সংবাদকর্মী। তাদের কাছে সংবাদের গুরুত্বইবা কতটুকু, সংবাদ সম্পর্কে অক্ষরজ্ঞানই বা কত তাদের? তারা নিজেরাই মাসে কতটি সংবাদ লিখেন বা কতটিইবা ছাপা হয়। তাদের সময় কাটে ধান্দাবাজি বা বিজ্ঞাপন সংগ্রহে। বিভিন্ন অফিসের বিজ্ঞাপন টেবিলে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের সাথে এইসব সংবাদ কর্মীর রয়েছে গভীর সখ্যতা।
অভিযোগ রয়েছে, তারা সামান্য ঘুষের বিনিময়ে হাতিয়ে নিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞাপন। এখানেই থেমে নেই টাউট হিসেবে চিহিৃত এসব কথিত সংবাদকর্মী। সমাজে সমস্যা কবলিত মানুষের একমাত্র ঠিকানা থানা বা সংবাদপত্র। একদিকে এরা সমস্যাগ্রস্থ মানুষদের সমস্যার সুযোগ নিয়ে লাভবান হচ্ছেন আর্থিকভাবে। অপরদিকে তাদেরকে ফেলছে আরও বিপদে। সময় এসেছে তাদেরকে রুখবার। অপসাংবাদিক সৃষ্টি এক ধরনের সাংবাদিকতা নির্যাতন। এরাই সাংবাদিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তাদেরকে প্রতিহত করতে হলে সাংগঠনিকভাবে জেলায় শক্তিশালী প্রেসক্লাবের প্রয়োজন। আবারও বলছি অতীত স্বর্ণযুগের মতো সৎ ও নির্ভিক সাংবাদিকতা সৃষ্টিতে এর কোন বিকল্প নেই।
সুসংগঠিত প্রেসক্লাবের নেতৃত্বে সাংবাদিকদের শেখার অনেক কিছুই রয়েছে। আমরা অনেক প্রশিক্ষনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। দায়িত্বশীল ও সৎ সাংবাদিক বিনির্মানে প্রেসক্লাবের গুরুত্ব অপরিসীম। একজন প্রসিকিউটর, একজন পুলিশ কর্মকর্তা আর একজন সাংবাদিক দায়িত্বশীল এবং সৎ হলে সমাজ পরিচ্ছন্ন হবে। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্থম্ভ হিসেবে সরকার ও সব দলকে দিক নির্দেশনা দেয়ার কারিগর এই সাংবাদিক সমাজ। একটু লক্ষ করলে দেখবেন সারা দেশের সাংবাদিকদের থেকে বঙ্গবন্ধুর গোপালগঞ্জের সাংবাদিকরা কত অসহায় । প্রায় সব জেলার সাংবাদিকরা সাংবাদিকতায় ভালো কিছু করায় পুরুস্কার পান, সম্মাননা পান,অসুস্থ হলে সরকারী সুযোগ সুবিধা পান,প্রধানমন্ত্রীর তহবীল থেকে আর্থিক সহযোগীতা পান । শুধু আমরা পাই না , প্রশ্ন রাখছি জেলার সিনিয়র সাংবাদিক নেতাদের কাছে কেন আমরা এত সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি ? কেন আমরা এক বৃক্ষের নিচে একই সংগঠনে থাকতে পারছি না ? কেন আপনারা বুঝতে পারছেন না এই সাংবাদিক সমাজের দ্বিধা-বিভক্তির কারনে প্রকৃত সাংবাদিকদের মর্যাদা হচ্ছে ক্ষুন্ন। কেন এমন হচ্ছে?
নির্দিধায় আমি গোপালগঞ্জকে রতœগর্ভা বলতে পারি। বলতে পারি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ জেলার মধ্যে আমার জেলা গোপালগঞ্জই শ্রেষ্ঠ । এজন্যই পারি-এখানে জন্মেছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বনামধন্য রাজনীতিক জাতীর শ্রেষ্ট সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান , বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা , বর্তমান দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী মাদার অফ হিউম্যানিটি শেখ হাসিনা, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, মোল্লা জালালউদ্দিন আহমেদ, শামছুল হক ফরিদপুরী (ছদর সাহেব), কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য, মথুরানাথ বোস, রমেশ চন্দ্র মজুমদার, শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর, ফটিক গোঁসাই, মধুসূদন স্বরস্বতী, ছবি খাঁ, হরিদাস সিদ্ধার্থ বাগাশী , পৃত্থীশ চন্দ্র রায় চৌধুরী , খান বাহদুর রোকন উদ্দিন আহমেদ, খান বাহাদুর মোহাম্মদ ইসলাইল ,মৌলভী আবদুল হাকিম , চন্দ্র বোস , শেখ মোশাররফ হোসেন , আবদুস সালাম খান, কাজী দ্বীন মুহাম্মদ, কবি আমির হোসেন খান , কবি কাসেম রেজা, সাংবাদিক নির্মল সেনের মত মানুষ ।

তাদের দেখানো পথ ধরে বর্তমান সময়ে যারা গোপালগঞ্জকে শেকড় থেকে সমৃদ্ধির শিখড়ে নিয়ে যেতে পথ নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে প্রধানতম শ্রদ্ধেয় আমাদের অভিবাকব বর্তমান দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী মাদার অফ হিউম্যানিটি শেখ হাসিনা, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি। শুনতে খারাপ লাগলেও বলতে হয় আপনাদের গোপালগঞ্জেতে নেই আধুনিক ঝলমলে প্রেসক্লাব ভবন আর সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের শক্ত কোন নিয়মিত নির্বাচিত কমিটি। এ ব্যর্থতা কী আপরাদের নয়! আপনাদের কী কোন দায়িত্ব নেই! আপনারা কী এই দায়কে এড়িয়ে যেতে পারেন ? প্রত্যেকটা বিষয়ে আপনাদের সরব প্রতিক্রিয়া থাকলেও সাংবাদিকদের ব্যাপারে আপনাদের নীরব ভূমিকা কেন? আমরা পাবো কি এসব প্রশ্নের উত্তর?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here