আজমানুর রহমান – গোপালগঞ্জ :
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, খাল ও নদী খননের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে একটি ডেল্টা প্ল্যান দেয়া হয়েছে। প্রথম ধাপের ৪৪৮টি খাল ও ছোট নদী পুনঃখনন কাজ চলছে। আগামী বছর দ্বিতীয় ধাপে আরো ৪০০ থেকে ৫০০ খাল ও ছোটো নদী পুনঃখনন করা হবে। ২০২১ সালে মধ্যে সব কাজ শেষ হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকহার ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। সব জায়গায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এই ভাঙন রোধে নদীগুলো খনন করতে হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হাট-বাজার ও লোকালয়ের ভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় সচেতন। এর একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান অচিরেই হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজি মাহফুজুর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মন্টু কুমার বিশ্বাস, প্রধান প্রকৌশলী একেএম ওয়াহেদ উদ্দীন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল হেকিম, গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য, মুকসুদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কাবির মিয়া, মুকসুদপুরের ইউএনও অফিসার তাসলিমা আলী, গোপালগঞ্জ সদরের ইউএনও সাদিকুর রহমান খান, উরফি ইউপি চেয়ারম্যান ইকবার গাজী প্রমুখ।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের পসারগাতি ও গোবিন্দপুরের বাওর এলাকা, কাশিয়ানি উপজেলার সরদার বাড়ি ভরাট খাল, গোপালগঞ্জ সদরের মধুমতি নদীর জয়বাংলা স্থানের ভাঙন কবলিত স্থান, এমবিআর চ্যানেলের মানিকহার ও হরিদাসপুরের ভাঙন ও এমবিআর প্রকল্পের বোটপাস কাম ভরাটখাল পরিদর্শনসহ আরো বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেন।