মোঃ হাসান চৌধুরী,নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :
২০২০ সালের শুরুতেই নবীগঞ্জ উপজেলা জুড়ে বাড়ছে ভাইরাসজনিত রোগ ডায়েরিয়া। আর এই রোগে বেশির ভাগ আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এতে করে মানসিকভাবে দুর্বল হচ্ছে এসব পরিবারের লোকজন। নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী জানা-যাায় ইংরেজী নতুন বছর ২০২০ সালের শুরু থেকে চলতি মাসের ৮ জানুয়ারী বুধবার পর্যন্ত ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৮ জন রোগী। গত এক সপ্তাহে ৪৮ জন ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি সচেতন মহলে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশিষ্টজনেরা মনে করছেন যতদ্রæত সম্বভ ডায়েরিয়া থেকে বাঁচতে গণসচেতনা বৃদ্ধি করা জরুরী। কারন ব্যাকটেরিয়াজনিত এই রোগ হওয়ায় এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়বে সব জায়গায়। গবেষণায় দেখা গেছে ২০১৯ সালে শুধু ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশির ভাগ শিশুর মৃত্যুর কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এব্যাপারে চিকিৎসকরা বলছেন, অসাবধানতা,অপরিচ্ছন্নতা,দুষিত পানি পান করা, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ইত্যাদি কারনে ডায়েরিয়া রোগ হয়ে থাকে। তবে ছোট,ছোট শিশুদের বেলায় মায়ের ভুকের দুধের বদলে শিশুদের মুখে রোগ জীবানু ভরা খাবার তুলে দেওয়া। এসব কারনে ডায়েরিয়ার প্রকোপ বাঁড়তে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে মা’য়েরা অধিক সচেতনা বৃদ্ধি থাকতে হবে। অপরিচ্ছন্ন কোনো কিছু শিশুদের কাছে দেয়া যাবে না। সব সময় মায়ের ভুকের দুধের পাশাপাশি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ৬ মাসের ভেতরে মায়ের ভুকের দুধ ছাড়া শিশুদের মুখে অন্য কিছু দেওয়া যাবে না। ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত ৪৮ জনের মধ্যে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষ করে বাড়ি ফিরেছেন অনেকে। এছাড়া ও প্রতিদিন আসছে ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগীরা। এর মধ্যে বেশির ভাগ ৩ থেকে ৪ মাস বয়সী শিশু বাচ্চা।