সুদিপ্ত সালামঃ তিন মাস বয়সী দুধের শিশুকে রেখে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মনিকা পারভিন (২১) নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মৃতদেহ নামানোর সময় মৃত মনিকার মরদেহের পাশে বসে কাঁদছিলেন তার তিন মাস বয়সী দুধের শিশু। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডুর তাহেরহুদার রামনগর গ্রামে।
জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে গত ৩ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে বাড়িতে থাকা ঝুলন্ত ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি । মনিকা তাহেরহুদা গ্রামের মনিরুল ইসলাম এর কন্যা এবং একই উপজেলার আর্দশ আন্দুলিয়া গ্রামের মজিদ মন্ডলের ছেলে রোকন আলীর স্ত্রী।
স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে মনিকার মা তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে যান। অনেকক্ষণ সাড়া শব্দ না পাওয়ায় ও ভেতর থেকে ঘর আটকানো থাকায় পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানে অবস্থায় তাকে মৃত উদ্ধার করা হয়। দুধের শিশুকে রেখে মনিকার এ আত্মহত্যার সঠিক কারণ জানা না গেলেও স্থানীয়দের দাবি পারিবারিক কলহের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন মনিকা।
নিহতের পরিবার ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের আর্দশ আন্দুলিয়া গ্রামের মজিদ মন্ডলের ছেলে রোকন আলীর সাথে তিন বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় মনিকার। দাম্পত্য জীবন তারা সুখে শান্তিতে অতিবাহিত করছিলেন। তিন মাস আগে এই সুখী দম্পতির ঘর আলোকিত করে একটি মেয়ে কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। মা-বাবা আদর করে মেয়ের নাম রেখেছিল (ইলমা)। সেই আদরের দুধের মেয়েকে রেখে মা মনিকার আত্মহত্যার এ ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভবানীপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই বাবলু বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মরদেহ উদ্ধারের সময় ছোট শিশুটি মায়ের দুধ খাওয়ার জন্য কান্না করছিল। এ অবস্হায় শিশুর বড় বোন শোক সামলে ছোট বোনের কান্না থামানোর চেষ্টা করছিল। এক পর্যায়ে কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে শিশুটি।