সমাজের কন্ঠ ডেস্ক – ভারতে উৎসবের তালিকা থেকে মুসলমানদের “ঈদ” উৎসবকে বাদ দিলেন নরেন্দ্র মোদি।
ভারতে ১৭ কোটি ৭২ লাখ মুসলিম ধর্মাবলম্বী রয়েছে, সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে মুসলমানদের ঈদ উৎসবের উল্লেখ করলেন না। মঙ্গলবার (৩০শে জুন) জাতির উদ্দেশে ওই ভাষণ দেন ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মোদি হিন্দু ধর্মাবলম্বীর আসন্ন সবগুলো অনুষ্ঠান, যেমন গুরু পূর্ণিমা, গনেশ চতুর্থী, দিওয়ালি, দূর্গা পূজা, ছাট পূজা, এবং কাতি বিহুর উল্লেখ করেছেন, কিন্তু আসছে আগস্টের ঈদের কথা মুখে আনেননি।
তিনি এমনকি এই ঘোষণাও দিয়েছেন যে, কেন্দ্রীয় স’রকার নভেম্বর পর্যন্ত ফ্রি-রেশান স্কিম বর্ধিত করেছে, এবং এর অধীনে পরিবারগুলো কি পরিমাণ গম, চাল ও চনা পাবে, সেটাও উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বক্তৃতার কোথায় ঈদের কথা বলেননি তিনি।
১৫ মিনিটের বক্তৃতায় মোদি বলেছেন, “জুলাই মাস থেকে উৎসবের পরিবেশ তৈরি হতে থাকে। দেখুন ৫ই জুলাই রয়েছে আমাদের গুরু পূর্ণিমা। এরপর শাওন শুরু হবে। এরপর আছে ১৫ আগস্ট, রক্ষা বন্ধন, কৃষ্ণ জন্মাষ্টমি, গণেশ চতুর্থী, ওনাম। আরও যদি সামনে যান, তাহলে আসবে বিহু, নবরাত্রি, দূর্গা পূজা, দুসেহরা, দিওয়ালি, ছোট পূজা”।
এটা একটা নতুন ভারত যেখানে মুসলিম উৎসব গুলিকে অবজ্ঞা করা যায়। অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (এআইএমএম) এর প্রেসিডেন্ট আসাদুদ্দিন ওয়াইসি উল্লেখ করেছেন যে, মোদি তার বক্তৃতায় চনার কথা পর্যন্ত উল্লেখ করেছেন, কিন্তু ঈদের উল্লেখ করতে পারেননি।
এরপরও ওয়াইসি মোদিকে ঈদ মোবারক জানিয়েছেন। মোদি ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ বলে যে শ্লোগান দিয়ে থাকেন, সেই শ্লোগান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অধিকার কর্মী-স্কলার উমর খালিদ।